শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালীকরণ এবং তামাকমুক্ত জাতি গঠনে যুব সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনেক পুরোনো এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তা কার্যকরভাবে তামাকজাত পণ্যের বিস্তার রোধ করতে পারছে না।
আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং-এর আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত ও কার্যকরভাবে সংশোধনের দাবি তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মকে এই আন্দোলনের অংশ করে তোলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। এসময় তিনি ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ইয়ুথ ফোরাম তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে আইন সংশোধনের যে দাবি জানিয়েছে তার প্রতি সম্পূর্ণ একমত পোষণ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) শেখ মোমেনা মনি। এসময় তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরোও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান মিলন।
আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। যুব বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার আহমেদ সাকিব ও ইয়ুথ ইনফ্লুয়েন্সার শামীম হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং-এর সদস্য মো. তাসনিম হাসান আবির।
সেমিনারে উপস্থাপিত প্রধান দাবিগুলো হলো- সকল ধরনের তামাকজাত পণ্যের প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা, ভেপ বা ই-সিগারেটের মতো নতুন পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা স্মোকিং জোন নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এবং তামাকের মোড়কের সচিত্র সতর্কবার্তা শতকরা ৯০ ভাগ করা।