শিরোনাম
ব্রেমেন (জার্মানী), ১৯ আগস্ট ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে বুন্দেসলিগায় অভিষেকেই গোল পেয়েছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। ম্যাচ শেষে কেন স্বীকার করেছেন নতুন লিগে খেলতে এসে তিনি কিছুটা ‘নার্ভাস’ ছিলেন। গতকাল ওয়ার্ডার ব্রেমেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।
সপ্তাহ খানেক আগে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম থেকে জার্মানীতে এসেছেন কেন। ম্যাচের তিন মিনিটে তার এ্যাসিস্টে লেরয় সানে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে কেন নিজেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৭৫ মিনিটের এই গোলের আগে বেশ কয়েকবারই গোলের সুযোগ পেয়েছেন কেন।
এক বছর আগে বায়ার্ন দলের সেরা স্ট্রাইকার রবার্ট লিওয়ানদোস্কিকে হারানোর পর থেকেই কেনকে দলে পেতে উন্মুখ ছিল। শেষ পর্যন্ত এবার তারা সফল হয়েছে।
কেনের গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রেমেনের লড়াইয়ে ফিরে আসার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে সানের দ্বিতীয় গোল ও ফরাসি টিনএজার মাথিস টেলের ইনজুরি টাইমের গোলে পরাজয়ের ব্যবধান বড় হয়েছে। বড় এই জয়ে বায়ার্নের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্নের দারুন সূচনা হলো।
ম্যাচ শেষে কেন বলেছেন, ‘আজকের রাতটা দারুন ছিল। প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা গোল পেয়েছি। আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। একইসাথে ইউরোপের নতুন একটি লিগে খেলার চ্যালেঞ্জ নিতেও অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে ততই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।’
দলের পারফরমেন্সের প্রশংসা করে বায়ার্ন কোচ থমাস টাচেল বলেছেন, ‘আমরা ধৈর্য্য ধরে, শান্ত থেকে ম্যাচটা শেষ করেছি। কখনই তাড়াহুড়া করে কিছু করিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই মেজাজে সবাই খেলেছে।’
অন্য দিকে ব্রেমেন ম্যানেজার ওলে ওয়ার্নার লিগের শুরুতেই বড় পরাজয়ে হতাশা ব্যক্ত করে ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমরা খুব বেশী রক্ষনাত্মক খেলার চেষ্টা করেছি। আর এতেই ম্যাচের পরিকল্পনা এলোমেলো হয়ে গেছে।’
বুন্দেসলিগায় টানা ১১ বার শিরোপা জয়ী বায়ার্ন ২০১১ সালে সর্বশেষ লিগের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল। গত মৌসুমে হঠাৎ করেই শিরোপা হাতছাড়া হবার সুযোগ তৈরী হবার পর বায়ার্নের পারফরমেন্স নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। বিশেষ করে গত শনিবার আরবি লিপজিগের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলের পরজয়ের মধ্য দিয়ে জার্মান এফএ সুপারকাপের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে। নতুন মৌসুমের আগে এই পরাজয় খুব একটা ভালভাবে মেনে নেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই সকলের চোখ ছিল কেনের দিকে। তিন মিনিটে ব্রেমেনের রক্ষনভাগের উপর দিয়ে চিপ করে কেন বল বাড়িয়ে দেন ম্যান সিটির সাবেক উইঙ্গার মানের দিকে। পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান সানে। জার্মানীতে আসার পর গোলের সুযোগ নষ্ট করার জন্য সানেকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু কাল শুরুতেই আর কোন ভুল করেননি। লিভারপুল থেকে এবারের গ্রীষ্মে ব্রেমেনে নাম লেখানো মিডফিল্ডার নেবি কেইটা অবশ্য ইনজুরির কারনে কাল মাঠে ছিলেন না। গত বছরের শীর্ষ গোলদাতা ফুয়েলক্রুগের ওপর আরো একবার নির্ভর করেই মাঠে নামে ব্রেমেন। আট মিনিটে হেডের সাহায্যে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন এই জার্মান স্ট্রাইকার। কিন্তু অল্পের জন্য অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় দারুনভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে স্বাগতিক ব্রেমেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও তারা ভালই করেছিল। ৭৪ মিনিটে কানাডিয়ান ডিফেন্ডার আলফনসো ডেভিসের পাসে কেন দারুনভাবে বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ম্যাচ শেষের ৬ মিনিট আগে কেনের স্থানে মাঠে নামা টেল ইনজুরি টাইমে দলে হয়ে চতুর্থ গোলটি করেছেন। তার আগে ৯০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন সানে।