শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ আগস্ট ২০২৩ (বাসস) : এশিয়া কাপের ইতিহাসে তিনবার ফাইনাল খেললেও একবারও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে আসন্ন এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলে, এবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুমন বলেন, তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি। এবার আর মিস করতে চান না।
২০১২ সালে এশিয়া কাপে প্রথমবারের মত ফাইনালে উঠেছিলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে ওয়ানডে সংস্করনের ঐ আসরের ফাইনালে মাত্র ২ রানে হেরে যায় টাইগাররা।
এরপর টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে অনুষ্ঠিত ২০১৬ আসরে আবারও ঘরের মাঠে হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলো বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হার মানে টাইগাররা।
২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে হওয়া পরের আসরেরও ফাইনালে জায়গায় করে নেয় বাংলাদেশ। এবারও ফাইনালে বাংলাদেশের সামনে প্রতিপক্ষ ভারত। দারুন লড়াইয়ের পরও ৩ উইকেটে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
তিনবার ফাইনালে উঠে শিরোপা জিততে না পারার ক্ষত আগামী আসরে ভুলতে চায় বাংলাদেশ। সুমন বলেন, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্ট সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে। এশিয়া কাপে এর আগে বাংলাদেশ তিনবার ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু শিরোপা জিততে পারিনি। আশা করছি, এবার সে সুযোগ পেলে হয়তো মিস করবো না।’
এশিয়া কাপ বা বিশ^কাপের মত টুর্নামেন্টগুলো বেশ কঠিন হয় বলে মনে করেন সুমন। সাফল্য পেতে হলে সেরাটাই খেলতে হবে বলে জানান তিনি, ‘এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টগুলো খুব কঠিন হয়। এখানে সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। বাকি যে দলগুলো আছে সকলেই সময়ের সাথে অনেক এগিয়েছে। গত ৪-৫ বছর আগের চেয়ে অনেক এগিয়েছে আফগানিস্তান। শ্রীলংকাও গুছিয়ে নিয়েছে। ভারত, পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী। ভালো করতে হলে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে।’
বিশেষভাবে গেল চার বছর যাবত ওয়ানডেতে দারুন পারফরমেন্স করেছে বাংলাদেশ। বিশ^কাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে রান রেটে পিছিয়ে থাকার কারনে তৃতীয় স্থানে আছে টাইগাররা।
সাম্প্রতিক সময়ের এই পারফরমেন্স এশিয়া কাপে অব্যাহত থাকবে বলে বিশ^াস সুমনের। পারফরমেন্স অব্যাহত থাকলে ভালো করা সম্ভব বলে জানান হাবিবুল, ‘গত এক বছরের পারফরমেন্স যদি দেখেন, তাহলে আশাবাদী হতেই পারি। সেই পারফরমেন্সের পুনরাবৃত্তি করাটা খুব জরুরি। কারণ বড় টুর্নামেন্টে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা প্রস্তুত আছি। দল হিসেবে আমরা ভালো করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত এক বছর ধরে আমরা আমাদের খেলার ধরন সম্পর্কে পরিষ্কার। কি ধরনের খেলা খেলতে চাই, সেটা এখন আমাদের কাছে পরিষ্কার। যদি টুর্নামেন্টে এটার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারি তাহলে অবশ্যই এশিয়া কাপে ভালো করা সম্ভব।’
আগামী ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা। গ্রুপ পর্বে ৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে এবং ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
প্রতিটি গ্রুপের সেরা দু’টি দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সুপার ফোরের সেরা দুই দল ফাইনাল খেলবে।