শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ আগস্ট ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়রা দলের মধ্যে জয়ের সংস্কৃতি তৈরি করবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার বিশ^াস বহুজাতিক টুর্নামেন্টে ট্রফি জিততে বড় অবদান রাখবেন তারা।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের পাঁচজন খেলোয়াড় বর্তমানে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। এদেও মধ্যে সর্বশেষ সুযোগ পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
পেসার এবাদত হোসেনের ইনজুরিতে দলে সুযোগ হয়েছে তরুণ পেসার সাকিবের। অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম। অন্যদের মধ্যে দলে জায়গা পাকা করেছেন- শরিফুল ইসলাম, শামীম পাটোয়ারী এবং তাওহিদ হৃদয়রা।
সম্প্রতি অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়া তামিম ইকবালের জায়গায় দায়িত্ব পাওয়া সাকিব প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, ‘যেহেতু বিশ্বকাপ জিতেছে, তাই তাদের জয়ের মানসিকতা আছে। আমি মনে করি, তাদের অন্তভুর্ক্তি দলকে আরও বেশি সাফল্য অর্জনে সহায়তা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যা দেখেছি, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের খেলোয়াড়রা সব সময় জিততে চায়। এটি দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, তারা সেই মানসিকতা ধরে রাখবে এবং ড্রেসিংরুমে দলের জয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে আমাদের সাহায্য করবে ।’
আলাদাভাবে তানজিদ হাসান তামিমের নাম উচ্চারণ করে সাকিব বলেন একজন আক্রমণাত্মক ওপেনার হিসেবে সাবলীলভাবে রান করার দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘আমি তানজিদ তামিমকে নিয়ে সত্যিই আশাবাদী। তাকে দলে পেয়ে শুধু আমি নই, পুরো দলই উচ্ছ্বসিত। আমি বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উন্নতি করার মতো প্রতিভা তার আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম তিন বা চার ম্যাচে ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়া যাবে না। আবার এটাও ঠিক যে, প্রথম তির/চার ম্যাচ ভাল করলেই সে রাতারাতি ভালো খেলোয়াড় হয়ে যাবে। আমি চাই নিজের খেলা উপভোগ করুক এবং নিজের খেলাটা খেলুক । আমি চাই, ড্রেসিংরুমে পরিবেশ উপভোগ করুক সে।’
সাকিব জানান, বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ^াসী হতে এশিয়া কাপে মনোযোগী হয়ে ভাল করতে চায় তার দল।
তিনি বলেন, ‘আপনি এশিয়া কাপের সাথে বিশ্বকাপ মেলাতে পারবেন না। কারণ দু’টি ভিন্ন ধরণের টুর্নামেন্ট। হ্যাঁ, আমরা যদি এশিয়া কাপে ভালো করতে পারি এবং একটি ভালো দল হিসেবে গড়ে উঠতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপে আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে এবং সেদিক বিবেচনায় এশিয়া কাপ গুরুত্বপূর্ণ।’
সাকিব বলেন, ‘তবে এটি এমন নয়, এশিয়া কাপে আমরা খারাপ করলে বিশ্বকাপে আমাদের কোন সুযোগ থাকবে না বা দুর্দান্ত পারফরমেন্স করলে বিশ্বকাপে আমাদের সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যাবে।’
গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এবং লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও এশিয়া কাপের জন্য নিজের প্রস্তুতি নিয়ে খুশি সাকিব।
অধিনায়ক হবার পর ২৪ আগস্ট প্রথমবারের মতো সতীর্থদের সাথে বৈঠক করেন সাকিব। তিনি জানান, ওয়ানডে অধিনায়ক হিসাবে তাকে মানিয়ে নিতে হবে, এমনটা মনে করেন না।
সাকিব বলেন, ‘বেশিরভাগই আমার অধীনে খেলেছে বা আমি তাদের অধীনে খেলেছি এবং একসাথেও খেলেছি। এক বা দু’জন নতুন ক্রিকেটারকে নেয়া হয়েছে, আমি মনে করি, আমার সম্পর্কে তাদের ভাল ধারনা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না, মানিয়ে নেয়ার মত কিছু আছে। কারণ সবাই জানে তাদের দায়িত্ব কি। কারণ আমাদের একটা ক্রিকেট সংস্কৃতি আছে এবং সেটা বিকাশের চেষ্টা করছি। এজন্য সবাই জানে ড্রেসিংরুমে জন্য কি করতে হবে।’