শিরোনাম
ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): আবহাওয়া আবারো বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে এশিয়া কাপের সূচি। বৃষ্টির কারনে কলম্বো থেকে সুপার ফোর পর্বের ম্যাচগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেবার কথা ভবাবছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তারা শ্রীলংকায় অপেক্ষাকৃত শুস্ক আবহাওয়ার পুর্বাভাস আছে এমন বিকল্প ভেন্যুর সন্ধান করছে বলে ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে নিশ্চিত করেছে পিসিবি ও শ্রীলংকার ক্রিকেটের কর্মকর্তারা। বৃষ্টির কারণে সুপার ফোর ও ফাইনালসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ বঘিœত হতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
শ্রীলংকাতে বর্তমানে বর্ষা ঋতু না চললেও কলম্বোতে কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃস্টিপাত হয়েছে। এর ফলে শ্রীলংকার শহরটির উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনা এবং গত শনিবার পাল্লেকেলেয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সম্প্রচারক ডিজনি স্টার ও এসিসির মধ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা। সাধারণত কলম্বোয় সেপ্টেম্বর মাসটি বৃস্টির মৌসুম নয়। অক্টোবরেই সচরাচর শুরু হয় উত্তরপুর্বাঞ্চলিয় বর্ষা মৌসুম। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত খেত্তারামা স্টেডিয়ামে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫টি টি-টোয়েন্টি এবং চারটি ওয়ানডে ম্যাচ। বৃস্টির কারণে শুধুমাত্র দুটি ম্যাচের পরিধি কমানো হয়েছিল। বাকী সবগুলো ম্যাচ সম্পুর্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেখানেই চলতি মাসের ৬ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচসহ সুপার ফোর পর্বের ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
টুর্নামেন্টের আয়োজকরা লংকান আবহাওয়াবিদদের কাছ থেকে কতটুকুপরামর্শ নিয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়। আগামী সপ্তাহগুলোতে সেখানে কোন ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে তা নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে ক্রিকইনফো। এর নিরিখেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বৃস্টিতে ভেসে যাবার আশংকা করা হয়েছিল।
ম্যাচগুলো যদি কলম্বো থেকে সরিয়ে নিতে হয়, তাহলে বিকল্প ভেন্যু কোনটা হবে সেটিও চিন্তার বিষয়। ডাম্বুলাকে একটি বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে। তবে সেখানকার হোটেল ও আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় ভারত। যদিও লংকান ক্রিকেট কর্মকতাদের দাবী স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের কাজ চলছে। এটি দীর্ঘ দিনের একটি সমস্যা হলেও বোর্ড সঠিকভাবে সেটি মেরামত করেনি।
ডাম্বুলার অবস্থান শ্রীলংকার শুষ্ক অঞ্চলে। বছরের এই সময়টিতে সেখানে ক্যান্ডি ও কলম্বোর চেয়ে বৃিস্টপাত অনেকটাই কম হয়। হাম্বানটোটার অবস্থান ভেজা ও শুষ্ক জোনের সীমান্তে। যে কারণে এটিও হতে পারে আরেকটি বিকল্প। তবে স্থানটি বনাঞ্চলের বেশ কাছে। যার কছাকাছি কোন আবাসন ব্যবস্থা নেই। সেখানে ম্যাচের আয়োজন করতে হলে যাতায়াত সংক্রান্ত জটিলতায় পড়তে হবে লংকানদের।
এদিকে ম্যাচগুলো দুই ভেন্যুতে ভাগ করে আয়োজনের বিপক্ষে সম্প্রচারকরা। কারণ সেক্ষেত্রে তাদেরকে যন্ত্রপাতি পরিবহনে বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে, অন্যথায় শ্রীলংকায় দুটি আলাদা সম্প্রচার কাঠামো স্থাপন করতে হবে। ম্যাচগুলো কলম্বো থেকে সরিয়ে নিলে সুচিগত জটিলতাসহ এরকম আরো অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে আয়োজকদের।