শিরোনাম
পাল্লেকেলে, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বাসস) : বৃষ্টি আইনে নেপালকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
‘এ’ গ্রুপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত হয়েছিলো। এতে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থেকে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থেকে সুপার ফোরে খেলবে ভারত। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার ফোর খেলবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পর ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় ২ ম্যাচে জয়হীন থেকে খালি হাতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো প্রথমবারের মত অভিষেক এশিয়া কাপ খেলতে আসা নেপাল।
পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে নামা নেপাল ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভারে তিনটি ক্যাচ ফেলে ভারতীয় ফিল্ডাররা। এই সুযোগে দলকে দারুন সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার আসিফ-কুশল ভুর্টেল। ৫৯ বলে ৬৫ রানের সূচনা গড়েন তারা।
দশম ওভারে ভুর্টেলকে ৩৮ রানে শিকার করে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার শারদুল ঠাকুর। ভুর্টেলের বিদায়ের পর স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ঘুর্ণিতে পড়ে ১০১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় নেপাল। এর মধ্যে ৩ উইকেট নেন জাদেজা।
সতীর্থরা ফিরলেও অন্যপ্রান্তে দলের রানের চাকা সচল রাখেন আসিফ। ২৮তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দশম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করতে ৮৮ বল খেলেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি আসিফ। ৩০তম ওভারে দলীয় ১৩২ রানে আসিফকে প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৫৮ রানের ইনিংস খেলার পথে ৯৭ বল মোকাবেলায় ৮টি বাউন্ডারি আসিফ।
১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতন হলে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে নেপাল। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে নেপালের রান ২শর কাছে নিয়ে যান কামি ও দিপেন্দ্র সিং আইরি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে আইরিকে শিকার করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন হার্ডিক পান্ডিয়া।
এরপর নেপালের রান ২শ পার করেন কামি। হাফ-সেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় গিয়ে ৪৮তম ওভারে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে মোহাম্মদ সামির বলে আউট হন থামেন তিনি। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৪৮ রান করেন কামি। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকী থাকতে ২৩০ রানে অলআউট হলেও সম্মানজনক সংগ্রহ পায় নেপাল। ভারতের জাদেজা ও সিরাজ ৩টি করে উইকেট নেন।
২৩০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২ দশমিক ১ ওভারে বিনা উইকেটে ১৭ রান তুলে ভারত। এরপর বৃষ্টিতে প্রায় ২ ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকে। এম অবস্থায় বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ২৩ ওভারে ১৪৫ রানের নতুন টার্গেট পায় ভারত।
নতুন টার্গেটে শুরু করে মারমুখী মেজাজে রান তুলতে থাকেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত ও শুভমান গিল। ১৩তম ওভারে নিজের মুখোমুখি হওয়া ৩৯তম বলে ওয়ানডেতে ৪৯তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করেন রোহিত। ১৪তম ওভারে ভারতের রান এক’শতে পৌঁছায়। ১৬তম ওভারে নিজের মুখোমুখি হওয়া ৪৭তম বলে ওয়ানডেতে সপ্তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন গিল।
২১তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন গিল। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৯ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত। ৬২ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন গিল।