শিরোনাম
নয়া দিল্লি, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস/ওয়েবসাইট) : ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের প্রচেস্টা থাকবে শিরোপা ধরে রাখার। সামান্য ব্যবধানে ২০১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অংশ না হলেও দলের সামর্থ্যের উপর দারুন আস্থা রয়েছে স্টুয়ার্ট ব্রডের। তবে এই দলটি নাকি সবচেয়ে বেশী ভয় পায় রোহিত শর্মার ভারতীয় দলকে। ব্রড স্বীকার করেছেন ভারত যদি তাদের আসল খেলাটা খেলে, তাহলে তাদের থামানো খুবই কঠিন হবে।
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক কলামে ব্রড লিখেছেন, ‘ ইংল্যান্ড যদি শিরোপা অক্ষুন্ন রাখতে চায়, তাহলে সেরা প্রচেস্টাটাই করতে হবে। তবে ভারত যদি তাদের আসল খেলাটা খেলতে পারে তাহলে তাদের থামানো খুবই কঠিন হবে। জশ বাটলারের দলটি অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। বড় সংগ্রহ দাঁড় করার ক্ষমতাও আছে। তবে একবার ভারতের কথা ভাবুন। একেতো তারা স্বাগতিক, তার উপর আবার ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষধারী। তাদের প্রতিহত করা খুবই কঠিন হবে। অপরদিকে ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে আমি কোন অজুহাত দেখাচ্ছি না। বাস্তবতা হলো তারা কঠিন গ্রুপে পড়েছে।’
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিয়েও ভবিষ্যদ্বানী করেছেন ব্রড। তার মতে ভারতসহ শেষ চারে খেলবে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। চতুর্থ দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে নিউজিল্যান্ডকেই এগিয়ে রেখেছেন তিনি।
৩৭ বছর বয়সী এই ইংলিশ তারকা বলেন, ‘অন্য সেমিফাইনালিস্টদের জন্য হুমকি হতে পারে পাকিস্তান। বোলিংয়ে তাদের বিপুল শক্তির পাশাপাশি আছে স্বাভাবিকভাবে উইকেট শিকারের সামর্থ্য। বাবর আজমের মতো খেলোয়াড়ের যেমন উচ্চমানের ব্যাটিং দক্ষতা রয়েছে, তেমনি হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির রয়েছে যে কোন প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য।’
উপসংহারে ব্রড বলেন,‘ আমি অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রেখেছি, কারণ নিউজিল্যান্ড এই টুর্নামেন্টের একমাত্র দল, যারা একতাবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যায়। অপরদিকে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্কক নিয়ে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া থাকলেও নিউজিল্যান্ড ঠিকই একটি পথ খুঁজে নেবে।’