শিরোনাম
নয়া দিল্লি, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস/ওয়েবসাইট) : অতীতের কস্টের দিনগুলো স্মরণ করে পাকিস্তানের তারকা পেসার হারিস রউফ বলেছেন, তিনি তার লেখাপড়ার খরচ যোগাতে বাজারে স্ন্যাকস বিক্রি করতেন। টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলা শুরুর আগে পর্যন্ত এভাবেই সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে।
২০২০ সালে অভিষিক্ত হবার পর পাকিস্তান দলের পেস আক্রমনের গুরুত্বপুর্ন ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন রউফ। খুব সহজেই ১৪৫ কিমি গতিতে বল করা রউফ এ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে ৫৩টি এবং টি২০’তে ৮৩টি উইকেট শিকার করেছেন।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে রউফ বলেন, ‘এসএসসি পাস করার পর লেখাপড়ার খরচ যোগাতে প্রতি রোববার আমি বাজারে স্ন্যাকস বিক্রির কাজ করতাম। সপ্তাহের বাকী সময় স্কুল এবং একাডেমিতে সময় কাটাতাম। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন লেখাপড়ার খরচ দেয়ার মতো উপার্জন করতেন না আমার বাবা-মা। আমার খরচ যোগানোর সামর্থ্য ছিল না। তবে টেপ-বল ক্রিকেট খেলে আমি অনায়াসে সেই ব্যয়বার বহন করতে লাগলাম। পাকিস্তানে যারা পেশাদার টেপ-বল ক্রিকেট খেলে তারা প্রতিমাসে সহজেই ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করতে পারে। আমিও সেভাবে উপার্জন করতে শুরু করলাম এবং সেই অর্থ আমি বাবা মার কাছেও পাঠাতাম। তবে এই অর্থ উপার্জন নিয়ে বাবাকে আমি বিস্তারিত কিছু জানাতাম না।’
পাকিস্তানি ওই পেসার এটিও জানান যে সংগ্রামী জীবন কাটানোর সময় পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যদের রান্নাঘরেও ঘুমোতে হয়েছে। রউফ বলেন, ‘আমার বাবার আরো তিনটি ভাই ছিল এবং তারা একত্রে বসবাস করতেন। আমাদের শুধু একটি বড় ঘর ছিল। আমার চাচারা যখন বিয়ে করলেন তখন আমার বাবা ভাইদের কাছে ঘরটি ছেড়ে দেন। ফলে রান্নাঘরেই ঘুমাতে হয় আমাদের।’
পেস বোলিং হচ্ছে ক্রিকেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘন্টায় ১৪০ কিমি এর আশে পাশে গতিতে বল করতে পারলে ওই খেলোয়াড়কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পেসার হিসেবে গন্য করা হয়। আর যে সব বেলার লাইন ও লেংন্থ ঠিক রেখে ওই গতিতে হরহামেসা বল করেন তাদের রতœ হিসেবে মনে করা হয়। পাকিস্তানী পেসার হারিস রউফের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে । ১৫০ কিমি গতিতে সহজেই বল করতে পারেন তিনি।