শিরোনাম
লন্ডন, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : আর্লিং হালান্ডের রেকর্ডের দিনে শনিবার প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের গোলে লিভারপুল ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে সমতায় ফিরে। আর এতেই প্রিমিয়ার লিগে হালান্ডের ৫০তম গোলটি সিটিকে জয় উপহার দিতে পারেনি। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে চেলসিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নিউক্যাসল। ব্রেন্টফোর্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে আর্সেনাল।
২৭ মিনিটে ন্যাথান এ্যাকের পাস থেকে দারুন ফিনিশিংয়ে সিটিকে এগিয়ে দেন হালান্ড। মাত্র ৪৮ ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে গোলের হাফ সেঞ্চুরি করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন এই নরওয়েজিয়ান তরুন।
এর আগে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সিটি ঘরের মাঠে ২৩টি ম্যাচে জয়ী হয়েছে। কিন্তু এই ম্যাচের আগে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল কাল ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে সিটিকে জয়ী হতে দেয়নি। আলেক্সান্দার-আর্নল্ড কোনাকুনি শুটে বল জালে জড়িয়ে সিটি সমর্থকদের নিশ্চুপ করে দেন। এ সময় তিনি গ্যালারির দিকে তাকিয়ে মুখে আঙ্গুল দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করে দেবার ইঙ্গিত করেন।
ম্যাচ শেষে লিভারপুল বস জার্গেন ক্লপ বলেছেন, ‘এই মাঠে খেলা সবসময়ই কঠিন। আমরা যদি আজ সত্যিকার অর্থেই ভাল খেলতে পারতাম তবে জেতার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। কিছু মুহূর্তের জন্য আমরা নিজেদের ছন্দ ফিরে পেয়েছিলাম। আর তখনই গোল শোধ করেছি। এ ব্যপারে আমার কোন অভিযোগ নেই।’
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর লিভারপুল ফরোয়ার্ড ডারউইন নুনেজের সাথে সিটি বস পেপ গার্দিওলাকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে। গার্দিওলা বলেছেন, ‘এটা একটি দুর্দান্ত পারফরমেন্স ছিল। আট বছর পরও আমরা এখনো একইরকম খেলছি, যা নিয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। সব বিভাগেই আমরা ভাল খেলেছি। দুর্দান্ত একটি দলের বিপক্ষে এটার প্রয়োজন ছিল।’
সেন্ট জেমস পার্কে ইনজুরি আক্রান্ত নিউক্যাসলের কোচ এডি হোয়ে বদলী হিসেবে তিনজন গোলরক্ষকের নাম রাখতে বাধ্য হয়েছেন। ষষ্ঠ স্থানে থাকা নিউক্যাসল আগের দুই ম্যাচে বোর্নমাউথ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হারের পর ফিটনেস ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ফিরে এসেছে। নিউক্যাসল স্ট্রাইকার আলেক্সান্দার ইসাক ১৩ মিনিটে লুইস মিলের পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ১০ মিনিট পর দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে রাহিম স্টার্লিং চেলসিকে সমতায় ফেরান। ৬০ মিনিটে জামাল লাসেলেসের হেডে আবারো এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে চেলসি ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার ভুলে জোয়েলিনটন তৃতীয় গোল করেন। ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে চেলসির রাইট-ব্যাক রেসি জেমস মাঠ ত্যাগে বাধ্য হন। ৮৩ মিনিটে এন্থনি গর্ডন দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
কোচ মরিসিও পোচেত্তিনোর প্রথম মেয়াদে এটি চেলসির সবচেয়ে বড় পরাজয়। একইসাথে টারা দ্বিতীয় ম্যাচে চার গোল হজম করলো ব্লুজরা।
কেনিলওয়ার্থ রোডে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ১৭তম স্থানে থাকা লুটন ঘরের মাঠে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে। জ্যাকব ব্রাউনের ৮৩ মিনিটের গোলে লুটনের জয় নিশ্চিত হয়। প্রথমার্ধে গোলশুন্য থাকার পর টেডেন মেনজিসের গোলে ৭২ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। দুই মিনিট পর মাইকেল ওলিস প্যালেসকে সমতায় ফেরান।
তলানির দল বার্নলির বিপক্ষে নাটকীয় ম্যাচে ২-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওয়েস্ট হ্যাম। ৪৯ মিনিটে স্পট কিক থেকে জে রড্রিগুয়েজ মৌসুমের প্রথম গোলে বার্নলিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ৮৬ মিনিটে ডারা ও’শিয়ার আত্মঘাতি গোলে ওয়েস্ট হ্যাম শিবিরে স্বস্তি ফিরে আসে। স্টপেজ টাইমে টমাস সুচেক হ্যামার্সদের জয় নিশ্চিত করেন।
নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয়ের মাধ্যমে সাত ম্যাচ পর প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ব্রাইটন। আরেক ম্যাচে মার্কাস টাভেরনিয়ারের জোড়া গোলে আরেক তলানির দল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে বোর্নমাউথ।
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে ৮৯ মিনিটে কেই হাভার্টজের একমাত্র গোলে জয়ী হয়ে সিটিকে এক পয়েন্টের ব্যবধানে পিছনে ফেলে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে আর্সেনাল।