বাসস
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৪২

সাফল্যের জন্য বাংলাদেশকে অনুসরণ করবে নিউজিল্যান্ড : সোধি

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ (বাসস) : সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে ১৫০ রানের লজ্জাজনক হারের পর এই কন্ডিশনে ভাল করার  কৌশল তারা পেয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন  নিউজিল্যান্ড  লেগ-স্পিনার ইশ সোধি। 
বাংলাদেশের  কৌশল পর্যালোচনা পর পরিকল্পনা সাজিয়ে বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট জিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজ হার এড়াতে নিউজিল্যান্ড  সক্ষম হবে  বিশ^াস সোধির।
আজ মিরপুর শেরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে  সোধি বলেন, ‘সিলেটে প্রথম টেস্টে হারের দুঃস্মৃতি থেকে বেরিয়ে আসা সত্যিই কঠিন। কিন্তু আমি মনে করি, ম্যাচটি যত  এগিয়েছে ততই আমরা ছন্দ খুঁজে পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ বাংলাদেশ অবশ্যই আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলেছে।  কিন্তু আমি মনে করি, এই কন্ডিশনে ভালো করার জন্য ব্লুপ্রিন্ট তারাই আমাদের তুলে দিয়েছে এবং আশা করি 
পরের টেস্টে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারবো।’
প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হারের অন্যতম কারণ ছিল  প্রতিপক্ষ স্পিনারদের শক্তহাতে সামলাতে না পারা। কেন উইলিয়ামসন এবং ড্যারিল মিচেল বাদে অন্যান্য ব্যাটাররা অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন। মিরপুরের উইকেট নিউজিল্যান্ডের জন্য আরো  কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে কেননা  এখানকার  উইকেট স্পিনারদের জন্য সহায়ক হয়ে থাকে। 
প্রতিপক্ষ স্পিনারদের প্রচেষ্টাকে ভেস্তে দিতে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের উপর ভরসা রাখছেন সোধি। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ হারলেও অভিজ্ঞ অনেকেই এই দলে আছে। আপনি জানেন, আগেও আমরা এই পরিস্থিতিতে ছিলাম, এটি মোকাবেলা করেছি। আমরা জানি পরের ম্যাচে কিভাবে নিজেদেরকে মেলে ধরতে হবে এবং আশা করি পরের ম্যাচে তা করতে পারবো। আশা করি, আমরা সত্যিই ভালভাবে এটি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং পরবর্তী ম্যাচে সেগুলো কাজে লাগাতে পারবো।’
ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।, মিরপুরে বিপুল সংখ্যক সমর্থক বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আরো অনুপ্রাণিত করবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
সোধি বলেন, ‘আমি মনে করি ঢাকায় অনেক বেশি দর্শকের উপস্থিতি ঘটবে। তার  দলকে ব্যাপক সমর্থন দিবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট এ দেশের অন্যতম শীর্ষ খেলা। এখানে অনেক আবেগ মিশে আছে। আশা করি আমরা এই টেস্টে সেরকমই কিছুর স্বাদ পাবো এবং এটি সবসময় উত্তেজনাপূর্ণ। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে যখন প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। কারণ আপনি সাদা বলের ক্রিকেটের সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, কিন্তু লাল বলের ক্রিকেটে এমনটা অতিরিক্ত উত্তেজনাপূর্ণ।’
কিন্তু বাংলাদেশে এত মানুষের জনসমাগমে বিচলিত নন সোধি। সাফল্য নিয়ে সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরতে চান তিনি।
সোধি বলেন, ‘হ্যাঁ, ভালোভাবে শেষ করতে পারলে ভাল লাগবে। অনেক  লম্বা সময় ধরে আমরা বাইরে আছি। গত ছয়মাস বা তারও বেশি সময় ধরে দল সাফল্যের মদ্যে ছিল। অনেক আবেগ ছিলো এসময়। অনেকটা রোলার কোস্টারের মত। বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ওঠা. সেই ম্যাচ হেরে যাওয়া। আপনি জানেন, পরিবার-পরিজনদের কাছ থেকে কতটা দূরে থাকতে হয় খেলোয়াড়দের। এই কন্ডিশনে জিতে দেশে ফিরতে পারাটা হবে দারুণ । ভালোভাবে শেষ করা সত্যিই চমৎকার হবে। আমার মনে হয়, ছেলেরা দারুণ উজ্জীবিত। বাসে এখানে আসার পথে সবাই আলোচনা করছিল যে কিভাবে এই কন্ডিশনের মোকাবেলা করা যায় এবং এই কন্ডিশনে সত্যিই ভালো একটি দলের বিপক্ষে কিভাবে লড়াই করা যায়। ছেলেরা দারুণ অনুপ্রাণিত। আশা করি, বিদায় নেওয়ার আগে আমরা নিজেদেরই কিছু উপহার দিতে পারবো এবং এরপর আমরা দেশে ফিরে বিয়ারের ঘ্রান নিতে পারবো। আমরা শীঘ্রই নিউজিল্যান্ডের মনোমুগ্ধকর পরিবিশে ফিরবো।