শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ (বাসস) : তিন ম্যাচ সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে আগামী বুধবার নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টায়।
বৃষ্টি-বিঘিœত সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে ৪৪ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। এতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হারের সংখ্যাটা ১৭তে পৌঁছে যায়।
কিন্তু সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের লড়াইয়ের মানসিকতায় এটাই বুঝা যাচ্ছে- অন্যান্যবারের মত এবার অন্তত সিরিজটি এক তরফা হবে না।
সঙ্গত কারনে বৃষ্টি আইন বাংলাদেশের কৌশলগত পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলেছে। প্রথম দফায় ম্যাচটি ৪৭ ওভারে নেমে আসার কারনে অন্তত দু’জন বোলার ১০ ওভার বল করতে পারবে এবং সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।
ম্যাচের প্রথম ওভারে দারুন সুইং ডেলিভারিতে নিউজিল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এতে ৫ রানে ২ উইকেট হারায় কিউইরা।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন উইল ইয়ং ও টম লাথাম। এসময় তাদের জুটি ভাঙতে পেসারদের ব্যবহার করেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু পুনরায় বৃষ্টি ম্যাচটিতে বিঘœ ঘটালে ৩০ ওভারে নির্ধারিত হয় ম্যাচটি। ততক্ষণে দলের প্রধান বোলারদের পাঁচ বা ছয় ওভার করে শেষ হয়ে যায়।
ম্যাচটি ৩০ ওভারে নেমে আসায় একজন বোলার সর্বোচ্চ ছয় ওভার করে বল করতে পারে। যে কারণেই ডেথ ওভারে সৌম্য সরকার এবং অন্যান্য বোলারদের ব্যবহার করতে হয় বাংলাদেশকে। যার সুযোগে শেষ ১২ ওভারে ১৪৫ রান তুলে ভালো অবস্থায় চলে যায় নিউজিল্যান্ড।
অবশ্য বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে বোলারদের সেভাবে ব্যবহারের প্রয়োজন থাকলেও অধিনায়ক শান্ত সেটি করেননি ।
একই সাথে, আবারও হতাশাজনক পারফরমেন্স প্রদর্শন করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সব সময়ের মত ভালো উইকেটে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দেন তারা। ম্যাচে লড়াই করার সুযোগ পেয়েও খারাপ শট খেলে নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম।
উইকেটে সেট হয়ে আস্কিং রান রেট অব্যাহত রেখে ৩৯ বলে ৪৩ রান করলেও, কীভাবে ইনিংস বড় করতে হয় অন্যান্য ব্যাটারদের মত সেটি জানেন না ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
সিরিজে সমতা আনতে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে প্রথম ম্যাচের পর বিজয়ন বলেন, ‘ইনিংস বড় করতে না পারাটা আমার ভুল। আসলে একবার ক্রিজে সেট হয়ে গেলে ইনিংস বড় করার জন্য আমাদের সতর্ক হতে হবে।’
নিউজিল্যান্ড বোলারদের বাউন্সার মোকাবেলায় জোর দিয়ে বিজয় বলেন, ‘বাউন্স সামলাতে হবে আমাদের। তাদের সবার উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত বাউন্স পেয়েছে তারা। যা আমাদের আউটের প্রধান কারন। আশা করি, বাউন্স মোকাবেলা করার কৌশলটা আমরা দ্রুত শিখতে পারবো।’
বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, আনামুল হক বিজয়, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন ও রাকিবুল হাসান।
নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে দল : টম লাথাম (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, টম ব্লান্ডেল, মার্ক চাপম্যান, জশ ক্লার্কসন, জ্যাকব ডাফি, কাইল জেমিসন, এডাম মিলনে, হেনরি নিকোলস, উইল ও’রউর্ক, রাচিন রবীন্দ্র, আদি অশোক এবং উইল ইয়ং।