শিরোনাম
মেলবোর্ন, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : পাকিস্তানের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ। ৯৬ রানে আউট হন তিনি। তারপরও বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে হাতে নিয়ে ২৪১ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৩১৮ রানের জবাবে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংস থেকে ৬৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৮৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে চাপে ছিলো সফরকারী পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করেছিলো পাকরা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ১২৪ রানে পিছিয়ে ছিলো তারা। মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৯ ও আমির জামাল ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিনের অষ্টম ওভারে পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন আগের দিন ৩ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ১টি করে চার-ছক্কায় ৪২ রান করা রিজওয়ানকে শিকার করেন কামিন্স। সপ্তম উইকেটে জামালের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ৪৫ রান যোগ করেন রিজওয়ান।
রিজওয়ান ফেরার পর ক্রিজে এসে দ্রুত রান তুলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪টি বাউন্ডারিও আদায় করে নেন তিনি। আফ্রিদিকে ব্যক্তিগত ২১ রানে থামিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিঁও। এরপর হাসান আলিকে ২ রানে শিকার করে ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন কামিন্স। ৫৭তম টেস্টে দশমবারের মত ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন অসি দলপতি।
শেষ ব্যাটার মির হামজাকে ২ রানে থামিয়ে পাকিস্তানকে ২৬৪ রানে অলআউট করেন লিঁও। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন জামাল। অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স ৪৮ রানে ৫টি ও লিঁও ৭৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মহাবিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। আফ্রিদি ও হামজার তোপের মুখে ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে দলীয় ১৬ রানে ৪ উইকেট হারায় অসিরা। ওপেনার উসমান খাজাকে শূন্য ও মার্নাস লাবুশেনকে ৪ রানে বিদায় দেন আফ্রিদি। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বলেই তুলে নেন হামজা। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে ৬ ও ট্রাভিস হেডকে খালি হাতে বিদায় দেন হামজা।
উইকেট পতন ঠেকাতে পাকিস্তানের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্শ। দ্রুত উইকেটে সেট হয়ে রানের চাকা সচল করে ফেলেন তারা। এ অবস্থায় এই জুটি ভাঙার সুর্বন সুযোগ পায় পাকিস্তান। ইনিংসের ১৬তম ওভারে জামালের বলে প্রথম স্লিপে মার্শের সহজ ক্যাচ ফেলেন আব্দুল্লাহ শফিক। তখন মার্শের রান ২০ ও দলের স্কোর ৪৬।
জীবন পেয়ে ৭০ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন মার্শ। ১২৫ বল খেলে নব্বইয়ে ঘরে পা রাখেন মার্শ। হামজার বলে স্লিপে আগা সালমানের দারুন ক্যাচে আউট হন ১৩টি চারে ১৩০ বলে ৯৬ রান করা মার্শ। পঞ্চম উইকেটে স্মিথ-মার্শ ২৬৭ বলে ১৫৩ রান যোগ অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরান ।
মার্শ ফেরার পর ১৫৩ বলে টেস্টে ৪০তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান স্মিথ। অর্ধশতকের পর আফ্রিদির শিকার হন স্মিথ। তার আউটের পর দিনের খেলার ইতি ঘটে। ৩টি চারে ১৭৬ বলে ৫০ রান করেন স্মিথ। ১৬ রানে অপরাজিত আছেন অ্যালেক্স ক্যারি। পাকিস্তানের আফ্রিদি ও হামজা ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন।