বাসস
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪০

বিশ্রামে যাচ্ছেন ক্লপ, কোন ইংলিশ ক্লাবে ভবিষ্যতে কোচিং করাবেন না

লিভারপুল, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : অন্তত এক বছরের জন্য ফুটবল থেকে বিরতি নিতে চান লিভারপুল ম্যানেজার জার্গেন ক্লপ। মৌসুমের শেষে এ্যানফিল্ড ছাড়ার ঘোষনা দেবার পর এমন মন্তব্যই করেছেন লিভারপুল বস।
মে মাসে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষনা দিয়ে সকলকে বিস্মিত করেছেন ক্লপ। এমন ঘোষনার  পিছনে এগিয়ে যাবার জন্য পর্যাপ্ত শক্তির অভাবকেই দায়ী করেছেন ক্লপ। ৫৬ বছর বয়সী এই জার্মানকে ঘিড়ে কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল তিনি নিজ দেশের জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু ২০১৫ সালে লিভারপুলের দায়িত্ব নেবার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগসহ সাতটি শিরোপা জেতা ক্লপ বলেছেন এই মুহূর্তে তিনি বিশ্রাম নিতে চান। একইসাথে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ভবিষ্যতে আর কখনোই ইংলিশ কোন ক্লাবের কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না। 
এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লপ বলেছেন, ‘ভবিষ্যত সম্পর্কে সম্পর্কে এখন আমি কিছু জানি না। কিন্তু আগামী এক বছর অন্তত কোন ক্লাব বা দেশ নয়। একটি বিষয়ে  প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি কোন ইংলিশ ক্লাবে আর যাবো না।’
খেলোয়াড়ী ক্যারিয়ারের প্রায় বেশীরভাগ সময়ই এই ডিফেন্ডার মেইঞ্জে কাটিয়ছেন। গত দুই দশক ধরে ইউরোপে অন্যতম সেরা একজন কোচ হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছেন। মেইঞ্জ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে সাত বছর সফলভাবে কাটিয়েছেন। ২০১৫ সালে সমস্যা জর্জরিত লিভারপুলে যোগ দেবার আগে জিতেছেন দুটি বুন্দেসলিগা শিরোপা। গত নয় বছরে তার ছোঁয়ায় লিভারপুলের ভাগ্য বদলে গেছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে এক অন্য লিভারপুলকে সবাই দেখছে। আর্থিকভাবেও ক্লাব লাভবান হয়েছে। এ্যানফিল্ডে দুটি নতুন স্ট্যান্ড ও নতুন ট্রেনিং গ্রাউন্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 
ক্লপ বলেন, ‘এই কাজে যে ধরনের দায়িত্ববোধ আছে তার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, নাহলেই সমস্যায় পড়তে হবে। ২৪ বছর ধরে আমি সেটাই করার চেষ্টা করছি। তবে যখন ক্যারিয়ার শুরুর যাত্রটা   মসৃন ছিলনা। লিভারপুলের আসার পরও অনেক সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়েছে। আমি বুঝতে পেরেছি আমার সম্পদ কখনই শেষ হবার নয়। যে কারনে এ মৌসুমের পর সবকিছু শেষ করতে যাচ্ছি। এরপর বিশ্রামে যাবো। আমরা এখন আর তরুণ নই, যখন তখন উঁচুতে লাফ দেবার শক্তিও এখন আর নেই।’
লিভারপুল ছাড়ার আগে চারটি ট্রফি জেতার সুযোগ এখনো আছে ক্লপের সামনে। এই মুহূর্তে লিভারপুল পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে।