শিরোনাম
প্যারিস, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : বিশ্বজুড়ে ফুটবল ক্লাবগুলো গত বছর আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার মার্কেটে রেকর্ড ৯.৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে যা ২০১৯ সালের পূর্বের রেকর্ডের থেকে ২ বিলিয়ন ডলার বেশী। ফিফার প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গেছে ২০২২ সালের ট্রান্সফার মার্কেটে যা ব্যয় করা হয়েছিল তার থেকে গত বছর প্রায় ৪৮.১ শতাংশ অর্থ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বছর কোভিড মহামারীর কারনে ট্রান্সফার মার্কেটে একটি জটিল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ক্লাবগুলো আর্থিক ভাবে ঘুড়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
পুরো ট্রান্সফার ব্যয়ের ১০ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের পিছনে। এর মধ্যে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহাম, চেলসির এনজো ফার্নান্দেজ ও বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেন।
ইংলিশ ক্লাবগুরোর মধ্যে চেলসি রয়েছে শীর্ষে। গত বছর দুই উইন্ডো মিলিয়ে ট্রান্সফার মার্কেটে তারা ২.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। যা ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাবগুলোর তুলনায় তিনগুন বেশী।
এই প্রথমবারের মত শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে সৌদি পেশাদার ক্লাব। নেইমার, সাদিও মানে, রিয়াদ মাহারেজের মত তারতাকে ভিড়িয়ে তারা প্রায় ৯৭০ মিলিয়ণ ডলার ব্যয় করেছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও করিম বেনজেমাও মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। যদিও দুজনেই গিয়েছেন ফ্রি ট্রান্সফার সুবিধায়।
চেলসির পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে পিএসজি, লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ।
ট্রান্সফার মার্কেটে ব্যয়ের বিপরীতে আয়ের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে জার্মান ক্লাব। গত বছর বুন্দেসলিগার ক্লাবগুলো সব মিলিয়ে এ খাতে ১.২১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড বেলিংহামকে রিয়ালে ও এইনট্র্যাখ ফ্র্যাংকফুর্ট রানডাল কোলো মুয়ানিকে পিএসজিতে ছেড়ে দিয়ে অনেক অর্থ আয় করেছে।
পর্তুগীজ ক্লাব সর্বোচ্চ ১০১৭ জন খেলোয়াড়কে বিদেশ থেকে নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল সর্বোচ্চ ১২১৭ জন খেলোয়াড়কে অন্য দেশের ক্লাবের কাছে বিক্রি করেছে।
ফিফা রিপোর্টের ভিত্তিতে আরো জানা গেছে নারী ফুটবলের ট্রান্সফার মার্কেটেও অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। ২০২৩ সালে সর্বমোট ৬২৩ জন নারী খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ট্রান্সফারের সাথে জড়িত ছিল। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৫০৭। সর্বমোট ১৮৮৮ জন খেলোয়াড় নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়েছেন। গত বছর ১৫৭১ জন অন্যত্র ট্রান্সফার হয়েছিলেন। এ খাতে নারী ফুটবলে প্রায় ৬.১ মিলিয়ন ডালার বিনিয়োগ করা হয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় যা ৮৪.২ শতাংশ বেশী।