শিরোনাম
লন্ডন, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : চেলসিকে ৪-১ গোলে উড়িয় দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার অন্যতম দাবীদার লিভারপুল নিজেদের আরো এগিয়ে নিয়ে গেছে। এদিকে ইনজুরি কাটিয়ে আর্লিং হালান্ডের ফেরার দিনে ম্যানচেস্টার সিটি বুধবার বার্নলিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করছে।
জার্গেন ক্লপের মৌসুম শেষে আকস্মিক বিদায়ের ঘোষনায় লিভারপুলের শিরোপা দৌড়ে কোন প্রভাব পড়েনি, যার প্রমান তারা একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র লিগই নয়, আরো তিন প্রতিযোগিতায় লিভারপুল এখন শিরোপার জন্য অন্যতম ফেবারিট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত রোববার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে রেডসরা নরউইটচ সিটিকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। একইভাবে এ্যানফিল্ড সফরে চেলসিকেও কোন ছাড় দেয়নি ক্লপ শিষ্যরা।
দিয়োগো জোতা ও কনর ব্র্যাডলির প্রথমার্ধের দুই গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডোমিনিক সোবোসলাই লিভারপুলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করন। ক্রিস্টোফার এনকুকু চেলসির হয়ে এক গোল পরিশোধ করলেও তা কোন শেষ পর্যন্ত কোন কাজে আসেনি। লুইস দিয়াজের গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটির তুলনায় লিভারপুল পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে রয়েছে। সিটি যদিও এক ম্যাচ কম খেলেছে। নয় বছরের মেয়াদে ক্লপকে দ্বিতীয় লিগ শিরোপা উপহার দিতে শিষ্যরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এনিয়ে ১১ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে অল রেডসরা। আগামী রোববার তৃতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের মোকাবেলা করবে লিভারপুল। শিরোপা প্রত্যাশী গানার্সদের বিপক্ষে ম্যাচটি এ কারনে লিভারপুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্লপ বলেছেন, ‘চেলসিকে শান্ত রাখার জন্য অত্যন্ত ভাল খেলা জরুরী ছিল। আমরা শক্তভাবেই ম্যাচ শুরু করেছিলাম। পুরো ম্যাচেই আমরা তাদেরকে চাপে রেখেছি। কাউন্ডার এ্যাটাকগুলো ছিল বেশ আগ্রাসী। এমন জায়গায় তাদের খেলতে বাধ্য করেছি যা তাদের পরিকল্পনায় ছিলনা। এটা সত্যিই একটি দুর্দান্ত রাত ছিল।’
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলিতে লিগ কাপের ফাইনালে আবারো চেলসির মুখোমুখি হবে ক্লপ বাহিনী। এছাড়া রেডসরা এফএ কাপ ও ইউরোপা লিগেও আশা টিকিয়ে রেখেছে।
কাল আরো একবার প্রমান হয়েছে কেন ব্লুজরা প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের ১০ম স্থানে রয়েছে। কোনদিক থেকেই তারা প্রতিপক্ষকে প্রতিরোধ করতে পারেনি।
প্রায় দুই মাস মাঠে বাইর ছিলেন সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হালান্ড। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ১০ ম্যাচে সিটি ৯টিতে জয়ী ও একটিতে ড্র করেছে। হালান্ডের অনুপস্থিতিত জুলিয়ান আলভারেজ যেভাব দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে কালও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকার নিজের ২৪তম জন্মদিনে জোড়া গোল করেছেন। ইত্তিহাদি স্টেডিয়ামে ২২ মিনিটে আলভারেজ ব্যবধান দ্বিগুন করেন। মাথিয়াস নুনেসের ক্রসে ১৬ মিনিটে সিটিকে এগিয়ে দেবার পর ২২ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার ফ্রি-কিকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আলভারেজ। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর প্রথম মিনিটেই রড্রি দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন।
ম্যাচ শেষের ১৯ মিনিট আগে হালান্ডকে মাঠে নামান পেপ গার্দিওলা। এর মাধ্যমে সিটির সমর্থকদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হলো। গত মৌসুমের গোল্ডেন বুট বিজয়ী এই নরওয়েজিয়ান তরুণ কাল অবশ্য কোন গোল পাননি। উল্টো স্টপেজ টাইমে আমিন আল দাখিল বার্নলির হয়ে এক গোল পরিশোধ করেছেন।
বার্নলি এখনো সেফটি জোন থেকে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘ম্যাচটি মোটেই প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হয়নি। কেভিন ড্রি ব্রুইনা ও আর্লিং মৌসুমের এই ভাগটাতে আমাদের সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।’
বুধবার দিনের আরেক ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে টটেনহ্যাম। নীল মপের গোলে বিরতির আগে টটেনহ্যাম স্টেডিয়ামে লিড পায় সফরকারী ব্রেন্টফোর্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ১১ মিনিটে তিন গোল করে আনগে পোস্তেকোগ্লুর দল দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। ৪৮ মিনিট ডেসটিনি উডোগির পোস্টের কাছের থেকে গোলে সমতায় ফিরে স্পার্সরা। পরের মিনিটে টিমো ওয়ার্নারের লো ক্রসে ব্রেনান জনসন স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। ৫৬ মিনিটে রিচার্লিসনের গোলে টটেনহ্যামের জয় নিশ্চিত হয়। এবারের মৌসুমে এটি ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের নবম গোল। ৬৭ মিনিটে উদোগির ভুলে ইভান টনি ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই গোলে কোন কাজে আসেনি।