শিরোনাম
হোবার্ট, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বাসস) : আগামীকাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজ দিয়ে আগামী জুনে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সাড়তে চায় ক্যারিবীয়রা। ওয়ানডে সিরিজের মত টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধরাশায়ী করার লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার। হোবার্টে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় টেস্ট ৮ রানে জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে ক্যারিবীয়রা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২৭ বছর পর টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব দেখায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৯ বছর ধরে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় ক্যারিবীয়রা।
ওয়ানডে সিরিজের ব্যর্থতাকে ভুলে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট-বল হাতে জ¦লে উঠতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কারন ঘরের মাঠে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার লক্ষ্য ক্যারিবীয়দের।
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ভিন্ন ফরম্যাট। এই সংস্করনে ছেলেরা ভালো ক্রিকেট খেলে থাকে। আশা করছি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতেই মাঠ ছাড়তে পারবো আমরা। বিশ^কাপের জন্য নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য এই সিরিজটি বেশ কাজে দিবে আমাদের।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে না খেলা জেসন হোল্ডার ও কাইল মায়ার্স। টেস্ট খেললেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে রাখা হয়েছে প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ককে। এই সিরিজের দলে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অবসর নেওয়া ডেভিড ওয়ার্নারকে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া স্টিভেন স্মিথ। এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে দলকে নেতৃত্ব দিবেন মিচেল মার্শ। অধিনায়কত্ব পেয়ে মার্শ বলেন, ‘আগামী বিশ^কাপের প্রস্তুতির জন্য এই সিরিজটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ^কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছেলেরা নিজেদের নিয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতে পারবে।’
২০২২ সালে সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইওয়াশ হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ২০১৩ সালে এক ম্যাচের সিরিজ জিতেছিলো ক্যারিবীয়রা। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১৯ বার মুখোমুখি হয় দু’দল। এর মধ্যে জয়ের পাল্লা ভারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১০টি ম্যাচ জিতেছে তারা। ৯টিতে জয় আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), শাই হোপ, জনসন চার্লস, রোস্টন চেজ, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, ব্র্যান্ডন কিং, আলজারি জোসেফ, কাইল মায়ার্স, গুদাকেশ মোতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফানে রাদারফোর্ড, রোমারিও শেফার্ড, ওশানে থমাস।
অস্ট্রেলিয়ার : মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, জেসন বেহরেনডর্ফ, টিম ডেভিড, নাথান এলিস, জশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও এডাম জাম্পা।