শিরোনাম
লন্ডন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : আর্লিং হালান্ডের পাঁচ গোলে মঙ্গলবার লুটনকে পঞ্চম রাউন্ডে ৬-২ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
কেভিন ডি ব্রুইনার তিন এ্যাসিস্টে কেনিলওয়ার্থ রোডে ৪০ মিনিটের মধ্যে হালান্ড হ্যাট্রিক পূরণ করেন। জর্ডান ক্লার্ক দ্রুত জোড়া গোল করে লুটনের ব্যবধান ৩-২’এ নামিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু আবারো বিধ্বংসী হালান্ডে কপাল পুড়েছে পুঁচকে লুটনের। বিরতির পর নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার জোড়া গোল করলে বড় জয়ে শেষ আটে পৌঁছে যায় সিটি। সিটির হয়ে বাকি গোলটি করেছে মাতেও কোভাচিচ। নভেম্বরে প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করার পর এ মৌসুমে সিটির এটি দ্বিতীয় ছয় গোলের কৃতিত্ব।
এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে হালান্ড ২৭ গোল করলেন। চেলসির বিপক্ষে সাম্প্রতিক ড্র হওয়া ম্যাচে বাজে পারফরমেন্সের কারনে সমালোচিত হালান্ড যেন জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন। গত বছর মার্চে আরবি লিপজিগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নায়োকোচিত পারফরমেন্সের পর সিটির জার্সি গায়ে এক ম্যাচে দ্বিতীয়বার পাঁচ গোলের রেকর্ড গড়লেন হালান্ড।
সিটির বড় এই জয়ে অবশ্য অভিজ্ঞ ডি ব্রুইনাকেও কৃতিত্ব দিতে হয়। হালান্ড এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘কেভিন ছিলেন দুর্দান্ত। তার সাথে খেলাটা সবসময়ই আনন্দের। একে অপরের কাছ থেকে কি চাই সেটা আমরা জানি।’
পায়ের ইনজুরির কারনে দুই মাস মাঠের বাইরে থাকার পর এই প্রথম নিজেকে প্রমান করলেন হালান্ড। নরওয়েজিয়ান এই তরুন ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আমি নিজের সেরাটায় ফিরতে চেয়েছি। শেষ পর্যন্ত কিছুটা ভাল অনুভব করছি। এটা সত্যিই দারুন এক অনুভূতি। আমাদের সময় এসেছে, আমরা সবাই ঘুড়ে দাঁড়িয়েছি। সবদিক থেকে আক্রমন করতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’
সিটি বস পেপ গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমার আর কি বলার আছে। আর্লিং ও কেভিন আজ ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তাদের মধ্যে বোঝাপোড়া দারুন ছিল। কেভিনের আর্লিংয়ের মত খেলার প্রয়োজন ছিল, একইভাবে আর্লিংয়ের কেভিনের মত।’
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এনিয়ে শেষ ১৫ ম্যাচের ১৪টিতে জয়ী হয়েছে সিটি। গত বছরের প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপ শিরোপার মাধ্যমে ট্রেবল জয়ের পুনরাবৃত্তির পথে তারা দারুনভাবে এগিয়ে রয়েছে।
রোববার প্রিমিয়ার লিগে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এখন হালান্ড-ডি ব্রুইনাদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষা।
কাল ম্যাচের তিন মিনিটে দারুন এক ফিনিশিংয়ে হালান্ড সিটিজেনদের এগিয়ে দেন। মাথিয়াস নুনেস দারুন এক পাস দেন ডি ব্রুইনার দিকে। লুটনের এরিয়ার মধ্যে ডি ব্রুইনা হালান্ডকে খুঁজে পান। গোলরক্ষক টিম ক্রুলকে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি এই সিটি স্ট্রাইকার। ১৮ মিনিটে আবারো ডি ব্রুইনার এ্যাসিস্টে ব্যবধান দ্বিগুন করেন হালান্ড। ৪০ মিনিটে আবারো ডি ব্রুইনার পাস থেকে ১২ গজ দুর থেকে ক্রুলকে পরাস্ত করে হ্যাট্রিক পূরণ করেন হালান্ড। সিটি ক্যারিয়ারে এটি হালান্ডের অষ্টম হ্যাট্রিক। ২০২২ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে আসার পর এটি তার প্রথম এ্যাওয়ে হ্যাট্রিক।
পাঁচ মিনিট পর দারুন এক দুর পাল্লার কার্লিং শটে এক গোল পরিশোধ করেন ক্লার্ক। ৫২ মিনিটে তিনি নিজেদের দ্বিতীয় গোল করেছেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডি ব্রুইনা ও হালান্ড লুটনের বিপক্ষে নিজেদের অসম্ভব প্রমান করেন। ৫৫ মিনিটে কাইল ওয়াকারের দুর্দান্ত পাসে ডি ব্রুইনা বল পেয়ে তা বাড়িয়ে দেন হালান্ডের দিকে। নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড চতুর্থ গোল করতে কোন ভুল করেননি। তিন মিনিট পর বার্নান্ডো সিলভার পাসে রো শটে হালান্ড দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন। ৭২ মিনিটে ২০ গজ দুর থেকে কোভাচিচ হালান্ডকে ষষ্ঠ গোল উপহার দেন।
দিনের আরেক ম্যাচে আব্দুল ফাতাউর দুর্দান্ত গোলে চ্যাম্পিয়নশীপের শীর্ষে থাকা লিস্টার ১-০ গোলে প্রিমিয়ার লিগের দল বোর্নমাউথকে পরাজিত করেছে। ১০৫ মিনিটে কেলেচি ইহেনাচোর পাসে কোনাকুনি শটে ফাতাউ দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছেন।
দ্বিথীয় টায়ারের দল ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে জয়ী হয়ে বিদায় থেকে রক্ষা পেয়েছে নিউক্যাসল। এডউড পার্কে নির্ধারিত সময়ের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র ছিল।