শিরোনাম
ঢাকা, ১ মার্চ ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দশম আসরের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের পক্ষে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন সর্বোচ্চ ৩৮ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রান করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তুলতেই টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় কুমিল্লা।
প্রথম ওভারে বরিশালের পেসার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্সের পঞ্চম ডেলিভারিতে তারই স্বদেশী ওবেড ম্যাককয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন কুমিল্লার ওপেনার ক্যারিবীয়ান সুনীল নারাইন।
চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে ১০ বলে ৩টি চারে ১৫ রান করা তাওহিদ হৃদয়কে বিদায় দেন ইংল্যান্ডের পেসার জেমস ফুলার। থার্ড ম্যানে হৃদয়ের দারুন ক্যাচ নেন মাহমুদুল্লাহ। দ্বিতীয় উইকেটে কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাসের সাথে ১৫ বলে ২৪ রান যোগ করেন হৃদয়।
ষষ্ঠ ওভারে কুমিল্লা শিবিরে আবারও আঘাত হানেন ফুলার। থার্ড ম্যানে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে আউট হন ৩টি বাউন্ডারিতে ১২ বলে ১৬ রান করা লিটন।
এরপর কুমিল্লাকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস ও উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। চতুর্থ উইকেটে ২৩ বলে ২৩ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন তারা। দশম ওভারে ১৫ রান করে ম্যাককয়ের প্রথম শিকার হন চার্লস।
ছয় নম্বরে নেমে ৩ রানে ইংল্যান্ডের মঈন আলি রান আউট হলে দরীয় ৭৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় কুমিল্লা। এ অবস্থায় ষষ্ঠ উইকেটে ২৯ বলে ৩৬ রানের জুটিতে কুমিল্লার রান ১শ পার করেন অঙ্কন ও জাকের আলি। বরিশালের পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ড হবার আগে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৮ রান করেন অঙ্কন।
১৭তম ওভারে দলীয় ১১৫ রানে অঙ্কনের বিদায়ে ক্রিজে এসে বরিশালের বোলারদের উপর চড়াও হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। ফুলারের করা ১৯তম ওভারে ৩টি ছক্কায় কুমিল্লাকে ২১ রান এনে দেন রাসেল। অবশ্য সাইফুদ্দিনের করা শেষ ওভার থেকে ৭ রানের বেশি নিতে পারেননি রাসেল ও জাকের। তারপরও ৬ উইকেটে ১৫৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।
৪টি ছক্কায় ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রান করেন রাসেল। ২টি চারে ২৩ বলে ২০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন জাকের। বরিশালের ফুলার ২টি, মায়ার্স-সাইফুদ্দিন ও ম্যাককয় ১টি করে উইকেট নেন।