বাসস
  ০২ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৩

ইউনাইটেডের কাছ থেকে ডার্বিতে সেরাটা আশা করছেন গার্দিওলা

লন্ডন, ২ মার্চ ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : রোববার ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যানচেস্টার ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটি হট ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামলেও কোচ পেপ গার্দিওলা প্রতিপক্ষ ইউনাইটেডের কাছ থেকে সেরা ফর্ম আশা করছেন।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ইউনাইটেডের বিপক্ষে শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জয়ী হয়েছে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে এই মুহূর্তে ইউনাইটেডের থেকে ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে সিটিজেনরা। এ মৌসুমে অক্টোবরে প্রথম ডার্বিতেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে সিটি ৩-০ গোলে স্বাগতিকদের বিধ্বস্ত করেছিল। 
টানা দ্বিতীয়বারের মত ট্রেবল জয়ের মিশনে লড়াইয়ে টিকে থাকা সিটি কোচ গার্দিওলা বলেছেন তিনি মোটেই ইউনাইটেডকে খাটো করে দেখছেন না, ‘আমি ইউনাইটেডের কাছ থেকে সেরা ফর্মই প্রত্যাশা করছি। এ পর্যন্ত তারা কি করেছে সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাইনা। প্রতিপক্ষ যেকোন দলকেই আমি খুব শ্রদ্ধা করি।আমি চাইনা মানুষ আমার কথা ভুলভাবে  বুঝুক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাদের চিনি, তাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। ইউনাইটেড অবশ্য এরিক টেন হাগের অধীনে যেকোন সময় ঘুড়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে। ওদের খেলোয়াড়রা বেশ প্রতিভাবান। আমার দলও অবশ্য বিন্দুমাত্র ছাড় দিবে না।’
গার্দিওলা জানিয়েছেন ইউনাইটেডের হতাশাজনক মৌসুম সত্ত্বেও এখনো তারা যেকোন দলের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, ‘সেট পিস থেকে তারা যেকোন সময় বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। ম্যাচটি যখন উন্মুক্ত হয়ে যায় ঐ মুহূর্তে তাদের কিছু খেলোয়াড় গোল করার সক্ষমতা রাখে। ইউনাইটেড সবসময় এভাবেই খেলে তাকে। যেদিন তারা ভাল খেলে সেদিন ম্যাচে জয়ী হয়। তাদের উপর যখন কোন চাপ থাকে না সেদিন তাদের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যেই আমরা  বছরের মার্চ মাসে চলে এসেছি। তারা এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। গত সপ্তাহে ঘরের মাঠে ফুলহ্যামের কাছে তারা হেরেছে। এই মুহূর্তে দারুন ছন্দে রয়েছে ইউনাইটেড।’ 
গত কয়েক দশকে দুই দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘১৯৮০’র দশক ছিল লিভারপুলের, ৯০’র দশকে ইউনাইটেড একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে, আর এখন কয়েক বছর ধরে আমরা নিজেদের প্রমান করেছি। গত এক দশকে আমরা সাতটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয় করেছি। ফুটবলে এমন হয়ে থাকে। ৫০, ৬০ বছরে কোন একটি দেশ বা ক্লাবের পক্ষে একক আধিপত্য ধরে রাখা কখনই সম্ভব না। কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যতটা সম্ভব দীর্ঘ সময়ের জন্য নিজেদের বিশেষ একটি ক্লাব হিসেবে ধরে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’