শিরোনাম
ম্যানচেস্টার (যুক্তরাজ্য), ৪ মার্চ, ২০২৪ (বাসস/এএফপি): ফিল ফোডেনের দুই গোলে রোববার মৌসুমের শেষ ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ইউনাইটেডকে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে সিটি। এর ফলে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের তুলনায় পয়েন্টের ব্যবধান ১’এ নামিয়ে এনেছে সিটিজেনরা।
আর্লিং হালান্ড স্টপেজ টাইমে আরেক গোল করেছেন। আগামী ১০ মার্চ লিভারপুল সফরে যাবার আগে সিটির জন্য এই ম্যাচে জয়ী হওয়াটা জরুরী ছিল।
মার্কোস রাশফোর্ড ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ৮ মিনিটে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন। বিরতির ঠিক আগে সিটির হয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন হালান্ড। ফোডেন অবশ্য আর কোন ভুল করেননি। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে তার দুই গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এরপর হালান্ড শেষ গোলটি করে আগের ভুলের মাশুল দিয়েছেন। ইউনাইটেডের বিপক্ষে শেষ চারটি প্রিমিয়ার লিগ ডার্বিতে এটি হালান্ডের ষষ্ঠ গোল।
ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে ৯ ম্যাচে এনিয়ে ৬ গোল করা ফোডেন বলেছেন, ‘এটা আমার লক্ষ্য ছিল। বড় ম্যাচে নিজেকে প্রমান করার আনন্দই আলাদা। আমি সবসময়ই এটাই করতে চাই। এবারের মৌসুমে এটি করতে পারবো বলে আমার বিশ^াস ছিল। আমি জানি সমর্থকদের কাছে এ ধরনের ম্যাচে জয়ের অর্থ কি। আমার কাছে তারাই সব। তার উপর নিজে গোল করে দলকে জয় উপহার দেবার পাশাপাশি সমর্থকদের জন্য কিছু করতে পারা সত্যিই বিশেষ কিছু। আজকের জয়টা জরুরী ছিল।’
এদিকে মৌসুমে ১১তম পরাজয় এরিক টেন হাগের ইউনাইটেডকে শীর্ষ চার থেকে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে দিয়েছে। হাতে রয়েছে আর মাত্র ১১ ম্যাচ।
সাবেক আয়াক্স বস এরিক টেন হাগ দাবী জানিয়েছেন সিটির সমতাসূচক গোলটি নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। একইসাথে দ্বিতীয় গোলটির আগেও রাশফোর্ডকে ফাউল করা হয়েছিল বলে তিনি দাবী জানিয়েছেন। কিন্তু পুরো ম্যাচে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে অনেকটাই বিধ্বস্ত হওয়া ইউনাইটেডের এ সমস্ত অভিযোগ শেষ পর্যন্ত আর টিকেনি। ইতোমধ্যেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় রাশফোর্ড তার সমালোচকদের উদ্দেশ্যে কড়া জবাব দিয়েছেন। ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড গত মৌসুমে ৩০ গোল করলেও এবার নিজেকে প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে।
কাল ম্যাচের ৮ মিনিটে তার গোলেই এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। ব্রুনো ফার্নান্দেসের বিপক্ষে অফসাইড পতাকা ওঠায় সিটি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এটাই পুরো ম্যাচে টার্গেটে ইউনাইটেডের একমাত্র শট ছিল। পিছিয়ে পড়ার পর থেকে পেপ গার্দিওলার সিটিই পজিশনের দিক থেকে শতভাগ আধিপত্য দেখিয়েছে। তবে ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার জন্য ব্যবধান বাড়েনি। দুইবার ফোডেনকে হতাশ করেছেন ক্যামেরুনিয়ার এই গোলরক্ষক। রড্রির লো শটও রুখে দেন ওনানা। বিরতির আগে রাশফোর্ড ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। রুবেন ডিয়াস পড়ে গেলে সুযোগটি কাজে লাগান রাশফোর্ড। কিন্তু তার দূর্বল শট কাইল ওয়াকার সহজেই ক্লিয়ার করেন। বিরতি পর্যন্ত ইউনাইটেডের লিড টিকে ছিল।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১১ মিনিটের মধ্যে রড্রির ক্রসে ফোডেন ম্যাচে সমতা ফেরান। ৮০ মিটিটে বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে সিটিকে প্রথমবারের মত এগিয়ে দেন ফোডেন। মৌসুমে এটি ফোডেনের ১৮তম গোল। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদর হয়ে ইনজুরি টাইমে শেষ গোলটি করেছেন হালান্ড। তার কার্লিং শটটি ধরার সাধ্য ছিলনা ওনানার।