শিরোনাম
সিলেট, ৭ মার্চ ২০২৪ (বাসস) : শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসের সুবাদে ফর্মে ফেরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ফর্মে ফেরাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেটে হেরে যাওয়ায় শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ ছিলো বাংলাদেশের। গতরাতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করে বাংলাদেশের ৮ উইকেটের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন শান্ত।
সিরিজ শুরুর আগে শান্তর অফ-ফর্ম নিয়ে উদ্বেগ ছিল। অবশেষে খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। ২০২৩ সালটা দারুন কেটেছিলো শান্তর। ঐ বছর বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে বেশ কিছু রেকর্ডও ভেঙ্গেছিলেন তিনি।
কিন্তু এ বছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি শান্ত। ১৪.৫৮ গড় এবং ৯৩.৫৮ স্ট্রাইক রেটে ১৭৫ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। লিগ পর্বে সিলেটের শেষ ম্যাচে নিজের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন শান্ত। পারফরমেন্স এতটাই হতাশাজনক ছিল যে পুরো টুর্নামেন্টে একটি ছক্কাও মারতে পারেননি তিনি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২২ বলে ২০ করেন শান্ত। নিজের সেরাটা দিতে আবারও ব্যর্থ হওয়ায় তাকে নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং নিজের কথাও রেখেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের জন্য সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়েছেন শান্ত। তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে।
দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি, যেভাবে ফিরে এসেছি, এটি আমাদের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে। এই কন্ডিশনে যেভাবে আমরা বোলিং করেছি, তাতে সত্যিই খুশী। আমি কোন বোলারকে বিশেষভাবে কৃতিত্ব দিচ্ছি না, তারা সবাই খুব ভালো বোলিং করেছে। বিপিএলেও ভাল বোলিং করেছিল শরিফুল। এজন্য সে তার ফর্ম খুঁজে পেয়েছে এবং আমি তার পারফরমেন্সে খুশী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি লিটন এবং সৌম্য খুব ভালো শুরু করেছে এবং পরে হৃদয়ও ভালো ব্যাটিং করেছে। এটি পুরোপুরি দলগত পারফরমেন্স ছিলো। অবশ্যই ব্যাটার হিসেবে আপনি প্রতি ম্যাচেই রান করতে চান। আশা করছি আমার ফর্ম অব্যাহত থাকবে।’
দ্বিতীয় ম্যাচে হারের কারন হিসেবে ২০-২৫ রান কম হওয়াকে দায়ী করেছেন শ্রীলংকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমাদের ২০-২৫ রান কম ছিলো এবং তারপর কামিন্দুর রান আউট ম্যাচে বড় প্রভাব ফেলেছে। ব্যাটার হিসেবে আমাদের বড় রান করতে হবে, বিশেষ করে এই কন্ডিশনে। কারণ এই কন্ডিশনে বোলারদের পক্ষে বোলিং করা খুবই কঠিন।’
আসালঙ্কা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাটারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে শান্ত, হৃদয় এবং লিটনকে। তারা ভালো ব্যাটিং করেছে।’