শিরোনাম
সিলেট, ২৫ মার্চ ২০২৪ (বাসস) : সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনে ৫৭ রানে সফরকারী শ্রীলংকার ৫ উইকেট শিকার করেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে না পারার সুর্বন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ম্যাচের শুরুতে ধ্বংসস্তুপে পড়েও অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং কামিন্দু মেন্ডিসের অসাধারন ব্যাটিং দৃঢ়তায়, শ্রীলংকা ঘুড়ে দাঁড়ানোয় আজ শেষ হওয়া প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ম্যাচের শুরুতে শ্রীলংকা খাদের কিনারায় চলে যাওয়ায়র পর বাংলাদেশ গা ছাড়া ভাব দিয়েছিলো কিনা, এমন প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছে।
ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘আমরা হালকা মেজাজে ছিলাম না (শ্রীলংকার ৫৭ রানে ৫ উইকেট পতনে)। এমনটা হবার কোন সুযোগ নেই। আমাদের সামনে সুযোগ এসেছিল কিন্তু আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারিনি। যাইহোক, আমি বলতে পারি সবাই নিজেদের শতভাগ দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনটা মাঝে মাঝে হলেও, ধনঞ্জয়া এবং কামিন্দুকে তাদের ব্যাটিংয়ের জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমাদের শুরুটা বেশ ভাল হয়েছিল এবং আমরা সত্যিই আমাদের পেসারদের নিয়ে গর্বিত। উইকেট ভালো ছিল। শুরুতে বল সুইং করেছে। নতুন বলে ব্যাটিংয়ে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
প্রথম টেস্টের ভুলগুলো শুধরে নিতে কাজ করা দরকার বলে মনে করেন শান্ত। ব্যাটাররা বেশ কিছু বাজে শট খেলেছে। বিশেষ করে লিটন দাস এবং শান্তর খেলা শট আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দুই ইনিংসেই ২শ রানের নীচে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস।
শান্ত বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই শেখার সুযোগ থাকে। আপনি চাইলে সহজেই ভুলগুলো বের করতে পারবেন। আমরা অনেক ভুল করেছি। পরের ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়াতে ভুলগুলো নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার শট সম্পর্কে বলতে পারি, এটা ভুল ছিল এবং আমি ভুল শট খেলেছি। আমি বল ছেড়ে দিতে পারতাম কারণ ঐ ডেলিভারিটি ইনিংসের শুরুতে ছিল এবং নতুন বল ছিল। লিটনের শটের কথা বলতে পারবো না। সে নিজেই এটি ভালো বলতে পারবেন। তবে হ্যা, আমরা টেস্ট ক্রিকেটে এমন আউটের ঘটনা খুব কম দেখেছি। আমি মনে করি, শট নির্বাচন ভুল হয়েছে। পরের ম্যাচে ভালো করতে আমরা সবাই চেষ্টা করবো।’
৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান করে শ্রীলংকা। এরপর বাংলাদেশকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯২ রানের লিড পায় লংকানরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতার সত্বেও ৪১৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। এতে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের পাহাড় টার্গেট ছুঁড়ে দেয় সফরকারীরা।
ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকার দুই ইনিংসেই নায়ক ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। প্রথম ইনিংসে ২০২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন তারা। দু’বারই বড় জুটি গড়ার পথে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখেছেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু।
শান্ত বলেন, ‘পরের টেস্টের আগে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে এবং ঘুড়ে দাঁড়ানোর পরিকল্পনায় আমরা বদ্ধপরিকর।’
দ্বিতীয় ইনিংসে মোমিনুল হকের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে আরও বড় ব্যবধানে হার থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। মোমিনুলের ৮৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে ১৮২ রানে থামে টাইগারাদের ইনিংস।
মোমিনুলের লড়াকু ইনিংসের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, ‘সে দারুন ইনিংস খেলেছে। তার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে। আমরা তার কাছ থেকে এই ধরনের ইনিংসের প্রত্যাশা করেছিলাম। আশা করি, এমন ইনিংস অব্যাহত থাকবে। কেউ তাকে যথার্থ সঙ্গ দিতে পারলে ম্যাচটি পঞ্চম দিনে গড়াতো।’