শিরোনাম
লন্ডন, ৩১ মার্চ ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। শনিবার ব্রেন্টফোর্ডের সাথে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সফরকারী ইউনাইটেড। দিনের আরেক ম্যাচে সন হেয়াং-মিনের গোলে লুটনকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে টটেনহ্যাম।
উল্ফসকে ২-০ গোলে পরাজিত করে টেবিলের চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে এ্যাস্টন ভিলা। টটেনহ্যামের থেকে তারা তিন পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। তবে ইউনাইটেডের থেকে এখন তাদের পয়েন্টের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১।
ইনজুরি টাইমে গোল হজম করার আগে অবশ্য ৯৬ মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের গোলে রেড ডেভিলসরা এগিয়ে গিয়েছিল। ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে এটাই মাউন্টের প্রথম গোল। ম্যাচে যখন ইউনাইটেড নিশ্চিত জয়ের পথে ছিল ঠিক তখনই একেবারে শেষ মুহূর্তে তিন মিনিট পর গোল হজম করে বসে এরিক টেন হাগের দল। ক্রিস্টোফা আয়ারের গোলে সাত ম্যাচে দ্বিতীয় পয়েন্ট যোগ করেছে ব্রেন্টফোর্ড।
ম্যাচ শেষে টেন হাগ বলেছেন, ‘আমরা একেবারে শেষ মুহূর্তেও জয়ের পথে ছিলাম। হতে পারে আজ ভাগ্য আমাদের সহায় ছিলনা। এই তিন পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্র করাটা হতাশাজনক।’
এদিকে ঘরের মাঠে এনিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত জয় আদায় করে নিয়েছে টটেনহ্যাম। ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে তাহিত চংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী লুটন। আনগে পোস্তেকোগ্লুর বিরতির পর খেলোয়াড় পরিবর্তন আরো একবার দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছে। ওয়েলস এ্যাটাকার ব্রেনান জনসন মাঠে নামার ছয় মিনিটের মধ্যে সমতায় ফিরে টটেনহ্যাম। ৫১ মিনিটে জনসনের ক্রসে ইসা কাবোরের আত্মঘাতি গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় স্পার্সরা। ম্যাচের শুরুতে বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করা সন শেষ পর্যন্ত আর ভুল করেননি। ৮৬ মিনিটে তার ডিফ্লেকটেড শট আটকাতে পারেননি লুটনের গোলরক্ষক থমাস কামিনিস্ক। মৌসুমে সনের এটি ১৫তম গোল।
সন বলেছেন, ‘ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোলের আগ পর্যন্ত আমি খুবই হতাশ ছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। আমরা বারবার এমন শেষ দেখতে চাইনা। আরো আগেই জয় নিশ্চিত করতে চাই।’
এই জয়ে সাময়িক সময়ের জন্য টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু ভিলা সেই আনন্দ বেশীক্ষন স্থায়ী করতে দেয়নি। মুসা ডিয়াবি ও এজরি কোনসার গোলে মিডল্যান্ডস ডার্বিতে উল্ফসকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছেন এ্যাস্টন ভিলা।
স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে দুইবার এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি চেলসি। শেষ পর্যন্ত তলানির দ্বিতীয় দল বার্নলির সাথে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্লুজরা। অথচ পুরো দ্বিতীয়ার্ধ বার্নলি একজন কম নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ৪০ মিনিটে মিখাইলো মাড্রিককে ডি বক্সের ভিতর ফাউল করে বসলে লোরেঞ্জ এ্যাসাইননকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বার্ণলি বস ভিনসেন্ট কোম্পানীকেও লাল কার্ড দেখতে হয়েছে।
পেনাল্টি থেকে ঠান্ড মাথায় গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন কোল পালমার। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের দুই মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরে ১০ জনের বার্নলি। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে দলকে সমতায় ফরান জোস কুলেন। ৭৮ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের ফ্লিকে পালমার কোনাকুনি শটে আবারো চেলসিকে এগিয়ে দেন। কিন্তু ম্যাচ শেষের ৯ মিনিট আগে দারা ও’শিয়া কর্ণার থেকে হেডের সাহায্যে বার্নলিকে সমতায় ফেরান।
চেলসি বস মরিসিও পোচেত্তিনো বলেছেন, ‘আজ আমরা নিজেদের সামর্থ্যরে পরিচয় দিতে পারিনি। প্রিমিয়ার লিগে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মত অন্তত যেটুকু ক্ষুধা থাকে সেটা আজ আমাদের মধ্যে ছিলনা। রক্ষনভাগে আজ অনেকগুলো ভুল হয়েছে। এ কারনেই আমি দারুন হতাশ।’
দিনের আরেক ম্যাচে সেন্ট জেমস পার্কে দুর্দান্ত ভাবে লড়াইয়ে ফিরে এসে ওয়েস্ট হ্যামকে ৪-৩ গোলে পরাজিত করেছে নিউক্যাসল। এই জয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে থাকা হ্যামার্সদের তুলনায় নিউক্যাসল এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। আলেক্সান্দার ইসাকের ৬ মিনিটের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যাওয়া নিউক্যাসলকে দারুন এই জয় উপহার দিয়েছেন মিখাইলি এন্টোনিও, মোাহাম্মেদ কুডুস ও জেরড বোয়েন।
বোর্নমাউথের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা ১২ ম্যাচে জয় বিহীন থাকার বাজে রেকর্ড ধরে রেখেছে এভারটন। যদিও এখনো রেলিগেশন জোন থেকে তিন পয়েন্ট দুরে রয়েছে টফিসরা।
ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে লুটনের চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে তলানির তিন অবস্থান থেকে কোনমতে রক্ষা পেয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট।