শিরোনাম
ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস): গ্রীষ্মের খরতাপের মধ্যেও রাজধানীর বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ স্কুল ড্রেস পরা খুদে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে। মাঠে ফুটবল নিয়ে নিজেদের সেরা কৌশল প্রদর্শনে ব্যস্ত খুদে ফুটবলাররা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয়-২০২৩ এর ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে ছিলো তেমনি উৎসবের আমেজ। খুদে ফুটবলারদের ফুটবলশৈলী উপভোগ করতে মাঠে উপস্থিত হন ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি করতালি দিয়ে উৎসাহ প্রদান করেন প্রাইমারী স্কুলের খুঁদে ফুটবলারদের।
তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রীড়া প্রতিভা খুঁজে বের করে আন্তর্জাতিক মানের ফুটবলার তৈরির লক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত হয়ে আসছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে খেলোয়াড়দের ফুটবল শৈলীতে একদিকে যেমন সবাই আনন্দ পাচ্ছে, তেমনি এর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে আগামী দিনের প্রতিভাবান ফুটবলার। ইতোমধ্যেই এর সুফল পাচ্ছে দেশের ফুটবল অংগন। যার প্রমাণ বয়সভিত্তিক সাফে বাংলাদেশের ফুটবলারদের ধারাবাহিকভাবে চ্যাম্পিয়নশীপ মুকুট অর্জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবলের এবারের আসরের ফাইনালে জামালপুরের চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে রংপুরের তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
অপরদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে লালমনিরহাটের টেপুরগাড়ী বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-১ গোলে চট্টগ্রাম বিভাগের বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহ উদ্দিন।
২০২৩ সালে দেশের ৬৫ হাজার ৩৫৪টি স্কুলের ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন ছাত্র ও ৬৫ হাজার ৩৫৪টি স্কুলের ১১ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন ছাত্রী এ ফুটবল টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় পর্যায়ে দুই টুর্নামেন্টে যেখানে অংশগ্রহণ করে ৮ বিভাগের ১৬টি দল।