শিরোনাম
প্যারিস, ৮ মে, ২০২৪ (বাসস) : দল জিতলে সব কৃতিত্ব সতীর্থদের উপর দিলেও পরাজয়ের দায়ভার সবসময় নিজের উপরই তুলে নেন পিএসজি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে। গতকাল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পরাজিত হয়ে ফাইনাল খেলতে না পারায় সব দায়ভার নিজের উপর নিয়ে নিয়েছেন এমবাপ্পে।
ফরাসি এই তারকা স্ট্রাইকার বলেন প্রথম ও দ্বিতীয় লেগে নিজেদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারায় পিএসজির বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সুযোগ তিনি নিজেও মিস করেছেন।
পার্ক ডি প্রিন্সেসে গতকাল ম্যাচের পর এমবাপ্পে বলেন, ‘আমি সবসময়ই দলকে সহযোগিতা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করি। কিন্তু কাল সেটা যথেষ্ঠ ছিলনা। আমার অবশ্যই গোল করা উচিৎ ছিল, দলও সেটাই চায়। বক্সের ভিতর আমরা কতটুকু দক্ষ ছিলাম, সেটা দেখতে গেলে বলতেই হয় আমাকে ওরা টার্গেট করেছিল। যখন সবকিছু ঠিক ভাবে হয় তখন সব স্পট লাইট আমার উপর থাকে। কিন্তু যখন তা না হয় তখনো সবকিছুই বলা উচিৎ। কাউকে না কাউকে তো ব্যর্থতার দায়ভার নিতে হবে, এখানে সমস্যার কিছু দেখিনা। আজ যদি কারো স্কোর করার কথা থাকতো তবে সেটা প্রথমই আমি। এটাই জীবন, আমাদের এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে পিএসজি প্রায় ৭০ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখেছিল, অন্তত ৩০টি শট তারা টার্গেটে করেছে। লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নরা চারবার বল বারে লাগিয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে শুন্য হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এটা পিএসজির দূর্ভাগ্য নয়, তারা যথেষ্ঠ ভাল খেলতে পারেনি-দাবী এমবাপ্পের।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি জানিনা ডর্টমুন্ড আমাদের থেকে ভাল খেলেছিল কিনা। তাদেরকে অপমান করার প্রয়োজন নেই। আমার মত হলো তারা দুই বক্সেই আমাদের থেকে এগিয়ে ছিল। আমাদের বক্সে এক থেকে দুইবার তারা এসেছে এবং গোল পেয়েছে। আমরা বেশীরভাগ সময়ই তাদের ওখানে পৌঁছেছি কিন্তু কোন গোলই আদায় করতে পারিনি। এটাই বাস্তবতা। আমি কখনই ভাগ্যকে দোষারোপ করতে পছন্দ করিনা। কেউ যখন ভাল খেলবে তখন পোস্টে কেন বল লাগাবে।’
পিএসজির জার্সিতে এটাই এমবাপ্পের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ। মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছেন বিশ^কাপ বিজয়ী এই ফরাসি তারকা। আসন্ন গ্রীষ্মে রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই এড়িয়ে গেছেন এমবাপ্পে।
পিএসজি সভাপতি নাসির আল-খেলাইফি বলেছেন, ‘খেলোয়াড় ও কোচ তাদের সবকিছু দেবার চেষ্টা করেছে। ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন। এর থেকে ভাল আমাদের খেলা উচিৎ ছিল। এটা কঠিন একটি ম্যাচ ছিল। আমি দলের পারফরমেন্সে দারুন গর্বিত। ইউরোপে আমরাই সবচেয়ে তরুণ দল। পাঁচ বছরে তিনবার আমরা সেমিফাইনালে খেলেছি। এটা আমাদের লক্ষ্য নয়, এখনো আমরা ফাইনাল খেলতে চাই। এটাই ফুটবল, সবাইকে এটা মেনে নিতে হবে। অনেক সময় হয়তো সবকিছু সঠিকভাবে হবে না, কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করাটাই সামনে এগিয়ে যাবার ক্ষেতে সবকিছু সহজ করে দিবে।’