শিরোনাম
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪ (বাসস) : প্রায় এক বছর পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য সাকিবকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছেন নির্বাচকরা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব। সে সময় দলের অধিনায়ক তিনি। কিন্তু চোখের সমস্যা এবং আঙ্গুলের ইনজুরির কারনে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বেশ কিছু সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন সাকিব।
এ বছর সাকিবের পরিবর্তে সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক করা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে।
প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে- ১০ ও ১২ মে।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে ঐ সময় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। ডিপিএলের ঐ তিন ম্যাচে ব্যাট-বল হাতে দারুন পারফরমেন্স করেছেন তিনি। ডিপিএল মঞ্চে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। যার মাধ্যমে পেশাদার ক্রিকেটে দীর্ঘ পাঁচ বছর সেঞ্চুরি না পাবার বৃত্ত ভাঙ্গেন সাকিব।
নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘শেষ দুই টি-টোয়েন্টি জন্য আমাদের পরিকল্পনায় ছিলো সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সাকিবকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিছু ম্যাচ খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
রাজ্জাক আরও বলেন, ‘পরিবারের সাথে ছুটি কাটিয়ে ডিপিএলে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে প্রস্তুত সে।’
সাকিবের সাথে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিনটি টি-টোয়েন্টিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিলো মুস্তাফিজুর রহমানকেও। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচের জন্য দলে ফেরানো হয়েছে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দারুন পারফরমেন্স করা মুস্তাফিজকে।
মুস্তাফিজ বিষয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘মুস্তাফিজের ক্ষেত্রেও আমাদের একই নিয়ম ছিলো। সে আইপিএল থেকে এসেছে, এজন্য আমরা তাকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম। প্রশ্ন ছিলো, প্রথম তিন ম্যাচে নাকি শেষ দুই ম্যাচে বিশ্রাম নিবেন তিনি। প্রথম তিন ম্যাচে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফিজ।’
সাকিব ও মুস্তাফিজকে দলে জায়গা দিতে বাদ পড়তে হয়েছে আফিফ হোসেন ও পারভেজ হোসেন ইমনকে। প্রথম তিন ম্যাচের কোনটিতেই খেলার সুযোগ পাননি দু’জনে।
রাজ্জাক বলেন, ‘এখনও আমাদের পরিকল্পনায় আছেন আফিফ ও ইমন। একই সময় সব খেলোয়াড়কে সুযোগ দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু তারা বিবেচনার মধ্যে আছেন।’
এদিকে, কাজের চাপ কাটিয়ে উঠতে বিশ্রাম দেওয়ার হয়েছে পেসার শরিফুল ইসলামকে। গত দুই বছর ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি ফরম্যাটেই খেলছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি শরিফুল। তৃতীয় ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখা হয় তাকে। এরপর সিরিজের বাকী অংশে শরিফুলকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ, জাকের আলি, মাহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।