শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ মে ২০২৪ (বাসস) : অসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশের ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখলেও, বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য আছে হৃদয়ের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন ও লক্ষ্যের কথা জানান এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ প্রথমবারের মত আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিলো বাংলাদেশ। ঐ দলের সদস্য হওয়ায় বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ কেমন হতে পারে, সেটি বেশ ভালোই জানেন হৃদয়। এবার বড়দের বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। আমি চাই, দল ভালো করুক। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করবো। আমি চাই আমার দল যেন অন্ততপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের স্মৃতি রোমন্থন করেন হৃদয়। ছোটদের বিশ্বকাপ জয়ের কারনে বড় মঞ্চে শিরোপা ঘরে তোলার ইচ্ছা পোষন করেছেন তিনি। হৃদয় বলেন, ‘চোখ খুলেও ঐইটা অনুভব করি যে কি করেছিলাম ঐ বিশ্বকাপে। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে ভালো করা। কাপ নেওয়া বা ভালো করা না, কাপ নিতে চাই আমরা। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’
আইসিসি ইভেন্ট জিতলে, বড় খেলোয়াড় হিসেবে মূল্যান করা হয় বলে মন্তব্য করেন হৃদয়। এজন্য বিশ^কাপ জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মনে করছেন হৃদয়, ‘আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শিরোপা জিতলে আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এখন যেমন অস্ট্রেলিয়া বা বড় বড় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয়। আমরা যদি দুই, একটি ট্রফি জিততে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমাদের নতুন প্রজন্মকেও সেভাবে সবাই মূল্যায়ন করবে। এজন্য এই বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বললেই হবে না, আমাদের যে প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো সবসময় বাস্তবায়ন করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা সবাই যদি নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতি করি, তাহলে খুবই সহজেই পাবো।’
হৃদয়ের মত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলে নিয়মিত। তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলামরা বাংলাদেশের জন্য বড় অবদান রাখতে পারবেন বলে মনে করেন হৃদয়। তাদের মধ্যে আক্রমনাত্মক মনোভাব আছে, যারা যেকোন মুর্হূতে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারেন। হৃদয় বলেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৯এ যারা ছিল, শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ নয়, এই দলে যারা আছে, মনে হয় যে প্রত্যেকেই ফাইটার। সবার মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব আছে। তামিম, সাকিব, রিশাদ যারাই আছে, আমার মনে হয় তারা এমন খেলোয়াড়, যেকোন দিন একজন-দু’জন খেলার চেহারাটা পরিবর্তন করে দিতে পারে। এদের মধ্যে সেই সামর্থ্য আছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা জেদ আছে। আমরা যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখানেও তেমন কিছু করবো বলে আশা করি।’
তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যটা বিশাল। গত এক-দেড় বছরে এটি হৃদয়-তানজিদের বুঝে যাওয়ার কথা। হৃদয় অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা উপভোগই করেন বলে দাবি করলেন, ‘দুটিই তো দেশের জন্য খেলা, একটা বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে। আরেকটা শীর্ষ স্টেজে। দু’টিই গর্বের। কারন ক্যারিয়ারের শুরুতে একটা অর্জন, যা সব সময় স্মরণীয়। জাতীয় দলে এখানে আন্তর্জাতিকভাবে চ্যালেঞ্জ বেশি, প্রতিযোগিতা বেশি থাকে। আমার কাছে মনে হয়, যেখানে চ্যালেঞ্জ বেশি, সেখানেই আমার ভালো লাগে। কারন চ্যালেঞ্জটা নিতেই আমার ভালো লাগে।’