শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ মে ২০২৪ (বাসস) : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে স্পটলাইটে থাকবে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য পাঁচজন হলেন-ভারতের যশ্বসী জয়সওয়াল, ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস, নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র, আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রিস্টান স্টাবস।
আগামী ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ।
যশস্বী জয়সওয়াল (ভারত) :
আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলবেন ২২ বছর বয়সী জয়সওয়াল। এবার প্রথম আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে খেলবেন তিনি। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে ইনিংস শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে তার। গত বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। অভিষেক টেস্টেই ১৭১ রানের রাজকীয় ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর ভারতের হয়ে ৯ টেস্ট এবং ১৭ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে ভালো-খারাপ মিলিয়ে পারফরমেন্স করেছেন জয়সওয়াল। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৫ ইনিংসে ১টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৫৫ স্ট্রাইক রেটে ৪৩৫ রান করেছেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে অনবদ্য ১০৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জয়সওয়াল। ক্যারিয়াারের প্রথম বিশ্বকাপে জ¦লে উঠতে মরিয়া তিনি।
উইল জ্যাকস (ইংল্যান্ড) :
আইপিলে দারুন ছন্দে ছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অলরাউন্ডার উইল জ্যাকস। ১টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩২ দশমিক ৮৬ গড় এবং ১৭৫ দশমিক ৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৮ ম্যাচে ২৩০ রান করেছেন তিনি। আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে মাত্র ৪১ বলে অপরাজিত ১০০ রানের নান্দনিক ইনিংস ছিলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জ্যাকস।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের হয় ২৫ বছর বয়সী জ্যাকসের। ইংল্যান্ডের হয়ে ১২টি টি-টোয়েন্টিতে ২১৮ রান ও ১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড) :
গেল বছর ভারতের অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে চমক দেখিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র। ৩টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে টুর্নামেন্টে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৫৭৮ রান করেন তিনি। এতে গেল বছর আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারে ভূষিত হন রবীন্দ্র। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পুরনো রবীন্দ্রকে দেখার প্রত্যাশা নিউজিল্যান্ডের।
কিন্তু আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি রবীন্দ্র। ১০ ম্যাচে ২২ গড় ও ১৬০ স্ট্রাইক রেটে ২২২ রান করেন তিনি। তবে লিগ পর্বে চেন্নাইয়ের শেষ ম্যাচে খোলস ছেড়ে বের হন রবীন্দ্র। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের বাঁচা-মরার ম্যাচে ৩৭ বলে ৬১ রানের দারুন ইনিংস খেলেন তিনি।
ট্রিস্টান স্টাবস (দক্ষিণ আফ্রিকা) :
আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ভালোই করেছেন স্টাবস। ১৩ ইনিংসে ৫৪ গড় ও ১৯০ স্ট্রাইক রেটে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৭৮ রান করেছেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৭১ এবং লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৫৭ রানের দু’টি উল্লেখযোগ্য ছিলো। দুই ম্যাচেই ২৫টি করে বল খেলে অপরাজিত ছিলেন স্টাবস।
আইপিএলর ফর্ম আসন্ন বিশ্বকাপেও অব্যাহত রাখবেন স্টাবস, এমনটাই প্রত্যাশা থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার। দেশের হয়ে ১৭টি টি-টোয়েন্টিতে ১৫৫ স্ট্রাইক রেটে ২৩৯ রান করেছেন স্টাবস।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান)
আইপিএলে অংশ নেওয়া আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন ২২ বছর বয়সী রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু শেষ হওয়া আসরে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। কারন ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট ওপেনার হিসেবে অসাধারন পারফরমেন্স করার কারনে একাদশে সুযোগ হয়নি তার। লিগের শেষ দিকে সল্ট দেশে ফিরে যাওয়ায় আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পান গুরবাজ। ৩ ম্যাচে ৬২ রান করেন তিনি। এরমধ্যে ফাইনালে উইকেটের পেছনে ৩টি ক্যাচ ও ৩৯ রানের ইনিংস খেলে কোলকাতার শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন গুরবাজ।
গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন গুরবাজ। ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই জয়ে যথাক্রমে ৮০ এবং ৬৫ রান করেছিলেন তিনি।