শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ মে ২০২৪ (বাসস) : আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করাই বড় লক্ষ্য বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফেসবুকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে দল নিয়ে লক্ষ্যের কথা জানান শান্ত।
২০০৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপেই খেলেছে বাংলাদেশ। কোন আসরেই নক আউট পর্বে উঠতে পারেনি টাইগাররা। আট আসরে অংশ নিয়ে ৩৮ ম্যাচে ৯টি জয়, ২৮টি হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে আগের রেকর্ড মুছে দিয়ে আসন্ন আসরে ভালো করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শান্ত-সাকিবরা।
এজন্য নবম আসরে শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে খেলতে নামবে বাংলাাদেশ। শান্ত বলেন, ‘সম্ভাবনা আমি বলতেই চাই না। কারণ আপনিও চান বাংলাদেশ শিরোপা জিতুক। খেলোয়াড়েরাও চায় বাংলাদেশ কাপ জিতুক। এটাই সবার লক্ষ্য।’
অধিনায়ক হিসেবে দলের সাফল্যের জন্য নিজেদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করাই মূল লক্ষ্য শান্তর, ‘অধিনায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হলো- প্রস্তুতি ঠিকমতো নিয়েছি কি না, ছোট ছোট কাজগুলো করছি কি না, প্রক্রিয়া ঠিক আছে কি না, এই জিনিসগুলো যদি আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, প্রতিটি ম্যাচে আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারলে ফল আসবেই। এজন্য ফল নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। ছোট ছোট জিনিসগুলো যেন আমরা ঠিকভাবে করতে পারি, এটা নিয়ে বেশি মনোযোগী।’
অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশ্রনে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের দল গড়েছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড়রা দলের প্রয়োজন মেটাতে পারলেই খুশি হবে শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রত্যেকটা ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। তারপর যদি আবার বিশ্বকাপের মতো একটা আসরে এ ধরনের সুযোগ আসে, তাহলে তো ওই ক্রিকেটারের জন্য গর্বের বিষয়। অনেক রোমাঞ্চকর একটা মুহূর্ত আমার কাছে মনে হয়। পাশাপাশি আমার কাছে মনে হয় এই সময়টা উপভোগ করা।’
তিনি আরও বলেনন, ‘প্রতিটি ক্রিকেটারের কাছ থেকে, সবার কাছেই আমার সমান প্রত্যাশা। যার যে ভূমিকাগুলো থাকবে, সেভাবেই যেন দলে অবদান রাখতে পারে, এটাই প্রধান চাওয়া থাকবে। আলাদাভাবে যদি বলেন, আমি বলবো যে সাকিব ভাই তার অভিজ্ঞতা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তিনি বিগত বছরগুলোয় যে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে, সেসব তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে তারা অনেক উপকৃত হবে এবং এরই মধ্যে যেগুলো তিনি করছেন।’
দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব ও মাহমুদুল্লাহর দলে থাকাটা বড় সুবিধা বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এ ধরণের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যখন দলে থাকে তখন এটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট। বিশেষ করে যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে, অনেকেই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন। তাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণা হবে। পাশাপাশি তাদের তো অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতাও আছে। আশা করি কঠিন সময়ে কোনো সাহায্য দরকার হলে তারা করবেন এবং সেটা এখন করছেনও। বিশ্বকাপে এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমি আশা করি।’
বিশ্বকাপের নিজের ব্যক্তিগত কোন লক্ষ্য নেই শান্তর। প্রতি ম্যাচেই দলের জন্য অবদান রাখতে মরিয়া তিনি, ‘আমার নিজের ব্যক্তিগত ওরকম কোন লক্ষ্য নেই। আমি যেভাবে চিন্তা করি যে, প্রতিটি ম্যাচে দলে কিভাবে অবদান রাখতে পারি, এটাই লক্ষ্য।’
দেশের বাইরে সমর্থকদের সমর্থন পাওয়া বাড়তি অনুপ্রেরণা বলে জানান শান্ত। তবে খারাপ সময়ে সমর্থকদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে যখন ভক্ত-সমর্থকেরা সমর্থন দেন, এটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। বাড়তি অনুপ্রেরণা এটা। আমাদের দেশের প্রত্যেক মানুষ যেভাবে ক্রিকেট অনুসরণ করেন, ক্রিকেটের পাশে থাকেন, অবশ্যই দলকে অনুপ্রাণিত করে। বাড়তি চাওয়া বলতে বিশ্বকাপের সময় এতটুকু চাইব যে, আল্লাহ না করুক, কোন বাজে অবস্থায় যদি আমরা পড়ি, সে সময় যেন তারা দলের পাশে থাকেন। দলকে সমর্থন দেন।’
বিশ^কাপে ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ- শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ^কাপ মিশন শুরু করবে শান্তর দল।