শিরোনাম
কিংসটাউন, ১৩ জুন ২০২৪ (বাসস) : সাকিব আল হাসানের অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে গ্রুপ ‘ডি’তে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন। এছাড়া তানজিদ হাসান ২৬ বলে ৩৫ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২১ বলে ২৫ রান করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাউনে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। অফ স্পিনার আরিয়ান দত্তর বলে রিভার্স সুইপ করে স্লিপে ক্যাচ দেন ৩ বলে ১ রান করা শান্ত।
অধিনায়কের বিদায়ের পর তৃতীয় ওভারে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ রান তুলেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান।
তানজিদ যখন রানের চাকা ঘুড়ানো শুরু করেছেনই তখন লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। আরিয়ানের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে স্লগ সুইপ করে স্কয়ার লেগে সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটের দারুন ক্যাচে বিদায় নেন ২ বলে ১ রান করা লিটন। ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় ক্রিজে তানজিদের সঙ্গী হন সাকিব। ষষ্ঠ ওভারে ৪টি চারে ১৯ রান নেন সাকিব। এতে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৪ রান তুলে বাংলাদেশ। সাকিবের সাথে তাল মিলিয়ে রানের চাকা দ্রুত ঘুড়িয়েছেন তানজিদও। সপ্তম ওভারে তানজিদের ২টি চারে ১২ রান পায় বাংলাদেশ।
কিন্তু নবম ওভারে পেসার পল ভ্যান মিকেরেনের শর্ট বলে মিড উইকেটে বাস ডি লিডকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৫ রান করা তানজিদ। তৃতীয় উইকেটে সাকিব-তানজিদ ৩২ বলে ৪৮ রান যোগ করেন।
দলীয় ৭১ রানে তানজিদের বিদায়ে উইকেটে আসেন ইনফর্ম তাওহিদ হৃদয়। সাবধানে খেলে উইকেটে সেট হবার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু স্পিনার টিম প্রিঙ্গলের বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড আউট হন ১৫ বলে ৯ রান করা হৃদয়।
হৃদয় ফেরার পর ক্রিজে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২টি করে চার-ছক্কায় নেদারল্যান্ডসের বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি। ১৭তম ওভারে ১৬ রান পায় বাংলাদেশ।
পরের ওভারে টি-টোয়েন্টিতে ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৮ বল খেলা সাকিব। ২০২২ সালের অক্টোবরে ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ও ১৯ ইনিংস পর হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান সাকিব।
সাকিবের হাফ-সেঞ্চুরির পরই মিকেরেনের শর্ট বলে পুল করে ডিপ মিড উইকেটে এঙ্গেলব্রেখটের হাতে ধরা পড়েন ২১ বলে ২৫ রান করা মাহমুদুল্লাহ। সাকিব-মাহমুদুল্লাহ ৩২ বলে ৪১ রান যোগ করেন।
মাহমুদুল্লাহ ফেরার পর ইনিংসের শেষ ১৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রান যোগ করে বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন সাকিব ও জাকের আলি অনিক। ৯টি চারে ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন সাকিব। ৩টি বাউন্ডারিতে ৭ বলে অনবদ্য ১৪ রান করেন জাকের। নেদারল্যান্ডসের আরিয়ান ও মিকেরেন ২টি করে উইকেট নেন।