শিরোনাম
কিংসটাউন, ১৪ জুন ২০২৪ (বাসস) : গতরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারিয়ে সুপার এইটের আশা বাঁচিয়ে রাখে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের হাফ-সেঞ্চুরি এবং স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং টাইগারদের জয়ে বড় অবদান রাখে। ম্যাচ শেষে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ জয়ে মুস্তাফিজ-রিশাদের পারফরমেন্সের প্রশংসা করেন ম্যাচ সেরা সাকিব ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের সুপার এইটে খেলার আশা ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিলো না বাংলাদেশের। এই জয়ে ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিতলেই সুপার এইটে খেলবে শান্তর দল। নেপালের কাছে হেরে গেলেও, সুপার এইটের সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে গ্রুপের অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাউনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করেছিলো বাংলাদেশ। চার নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৯টি চারে ৪৬ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেন সাকিব। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানে থামে নেদারল্যান্ডস।
উপরের সারির প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে কারও বড় ইনিংস খেলা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বলে মনে করেন সাকিব, ‘উপরের সারির চার ব্যাটারের কারও পুরো ইনিংস ধরে খেলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পেরেছি। শুরুর দিকে ইনিংস সহজ ছিল না। ভালো সংগ্রহ দাঁড় করানোর জন্য আমাদের স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে হয়েছে। আমি বলবো না, এটি জয়ের মত সংগ্রহ ছিল। কিন্তু এটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ ৪-৫ বছরে এখানে খুব বেশি খেলা হয়নি। আমরা জানতাম না, এখানে কত স্কোর ভালো হবে। এজন্য ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত আমরা উইকেট ধরে খেলেছি এবং সেখান থেকে যত দূর যাওয়া যায়। বিশ্বকাপে ১৬০ রান সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং।’
১৬০ রানের টার্গেটে ১৪ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১০৪ রান করে তুলে ম্যাচে ভালোভাবেই টিকে ছিলো নেদারল্যান্ডস। কিন্তু ১৫তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ডাচদের লড়াই থেকে ছিটকে দেন রিশাদ। এরপর ১৭ ও ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুস্তাফিজ।
বোলারদের প্রশংসা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ-রিশাদকে কৃতিত্ব দিলেন সাকিব, ‘বোলাররা দারুন বল করেছে। নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছে ফিজ ও রিশাদ।’
বোলারদের পাশাপাশি সাকিবের পারফরমেন্সের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক শান্ত, ‘গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছেলেরা নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। সাকিব বেশ শান্ত ছিল এবং আমরা সবাই জানি, সে কতটা ভালো। তার জন্য আমরা খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে কিছুটা বাউন্স থাকলেও, উইকেট ভালো থাকায় ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল। আমরা জানি ফিজ কতটা ভালো। সে তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দেখিয়েছে। রিশাদ অন্য বোলারদের মতো নিজের সেরাটা দিয়েছে।’