শিরোনাম
লর্ডস, ১২ জুলাই ২০২৪ (বাসস) : লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ইংল্যান্ডের বর্ষীয়ান পেসার জেমস এন্ডারসন। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ১০ ওভারে ১১ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।
এরমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ৩১তম ও নিজেদের দশম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিটি করেই রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেন এন্ডারসন। বিশে^র চতুর্থ টেস্ট বোলার হিসেবে ৪০ হাজারতম বল করেন ১৮৮তম ম্যাচ খেলতে নামা এন্ডারসন।
এর আগে টেস্টে ৪০ হাজার ডেলিভারির মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিন স্পিনার শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালিধরন, ভারতের অনিল কুম্বলে ও অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন। মুরালি ১৩৩ টেস্টে ৪৪০৩৯, কুম্বলে ৪০৮৫০ এবং ওয়ার্ন ৪০৭০৫টি ডেলিভারি করেছেন।
টেস্টে ৪০ হাজার ডেলিভারি করার কীর্তির দিনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৫০ হাজারতম ডেলিভারিও করেছেন সর্বমোট ৪শ ম্যাচ খেলা এন্ডারসন। এই তালিকাতেও চতুর্থস্থানে আছেন তিনি। এন্ডারসনের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০ হাজার ডেলিভারি করেছেন মুরালি, কুম্বলে এবং ওয়ার্ন।
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মুরালি ৪৯৫ ম্যাচে ৬৩১৩২, কুম্বলে ৪০৩ ম্যাচে ৫৫৩৪৬ এবং ওয়ার্ন ৩৩৯ ম্যাচে ৫১৩৪৭টি বল ডেলিভারি করেন। ৪০ ও ৫০ হাজার ডেলিভারির তালিকায় প্রথম পেসার এন্ডারসনই।
এন্ডারসনের বিদায়ী টেস্টে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসও। বিশে^র তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার ও ২শ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন স্টোকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে কির্ক ম্যাকেঞ্জিকে শিকার করে ১০২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ২শ উইকেট পূর্ণ করেন স্টোকস। আগের থেকেই টেস্টে ৬৩১৬ রান আছে তার।
স্টোকসের আগে টেস্টে ৬ হাজার রান ও ২শ উইকেট শিকার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জক ক্যালিস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্যারি সোর্বাস। ১৬৬ টেস্টে ক্যালিস ১৩,২৮৯ রান ও ২৯২ উইকেট শিকার করেছেন। ৯৩ টেস্টে সোর্বাস ৮,০৩২ রান ও ২৩৫ উইকেট নিয়েছেন।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ষষ্ঠ অলরাউন্ডার হিসেবে ১০ হাজার রান ও ৩শ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন স্টোকস। এর আগে- ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্ল হুপার ৩২৯ ম্যাচে ১১,৫২৩ রান ও ৩০৭ উইকেট, শ্রীলংকার সনাথ জয়াসুরিয়া ৫৮৬ ম্যাচে ২০.৮৫৯ রান ও ৪৪০ উইকেট, জ্যাক ক্যালিস ৫১৯ ম্যাচে ২৫,৫৩৪ রান ও ৫৭৭ উইকেট, পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি ৫২৪ ম্যাচে ১১,১৯৬ রান ও ৫৪১ উইকেট এবং বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ৪৪৩ ম্যাচে ১৪,৬২৬ রান ও ৭০৩ উইকেট শিকার করেন।