শিরোনাম
বার্লিন, ১৩ জুলাই ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেনের সাথে স্পেনের প্লেমেকার ডানি ওলমো এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কিন্তু ওলমো বলেছেন, এই মুহূর্তে তার চিন্তা শুধুমাত্র স্পেনের শিরোপা জয়কে ঘিরে, ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে তিনি মোটেই ভাবছেন না।
আরো চার খেলোয়াড়ের সাথে ওলমো ও কেন এই মুহূর্তে তিন গোল করে ইউরো চ্যাম্পিয়শীপের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। রোববার ফাইনালে উভয় খেলোয়াড়ের সামনে সুযোগ রয়েছে এই গোলসংখ্যাকে সমৃদ্ধ করে গোল্ডেন বুট জয় করার।
স্পেন রেকর্ড চতুর্থবারের মত ইউরোর শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে। ওলমো জানিয়েছে নিজের ব্যক্তিগত অর্জনের চাইতে দলের লক্ষ্য এখন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে স্থানীয় গণমাধ্যমে ওলমো বলেছেন, ‘এটা বাড়তি একটি অনুপ্রেরণা। ম্যাচে সেটা হয়ে গেলে বাড়তি পাওনা। কিন্তু আমরা সবাই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো। কে গোল করলো কে করলো না সেটা তখন মূখ্য বিষয় হবে না। আমি বিষয়টি নিয়ে মোটেই ভাবছি না। আমার সবসময়ই চিন্তা থাকে কিভাবে দলের জয়ে সহযোগিতা করবো।’
নিজে গোল করা ছাড়াও সতীর্থদের গোলে দুটি এ্যাসিস্ট রয়েছে ওলমোর। আরবি লিপজিগের এই মিডফিল্ডার স্পেনের কোচ লুইস ডি লা ফুয়েন্তের প্রথম দলের খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হননি। টুর্ণামেন্টে সব ম্যাচে তিনি মূল দলে খেলেননি। কিন্তু যখন সুযোগ পেয়েছেন বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে দলকে সহযোগিতা করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়া পেড্রির স্থানে মাঠে নেমে জয়সূচক গোলদাতা মিকেল মেরিনোকে এ্যাসিস্ট করেছেন। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোলও করেছেন। স্পেনের নক আউট পর্বের তিনটি ম্যাচেই তিনি গোল করেছেন।
২৬ বছর বয়সী ওলমো আরো বলেন, ‘এই টুর্ণামেন্টে আমি বেশ ভাল অনুভব করছি। অনেকগুলো দারুন মুহূর্তের সঙ্গী হয়েছি। সে কারনেই আরো ভাল করার অনুপ্রেরণা জন্মেছে। এটা সত্যি যে আমি ও কেন সমান সংখ্যক গোল করেছি। আরো অনেকেই তিন গোল করেছে। প্রত্যেকেই এর মাধ্যমে নিজ নিজ দলকে সহযোগিতা করেছে। ফাবিয়ান রুইজ দুই ও আলভারো মোরাতা এক গোল করেছে। তারা যদি ফাইনালে কেউ হ্যাটট্রিক করে গোল্ডেন বুট জয় করে তবে আমি দারুন খুশী হবো। কে গোল করলো সেটা আমার কাছে কোন অর্থ বহন করেনা।’
জার্মান সুপার কাপ ফাইনালে লিপজিগ ৩-০ গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে পরাজিত করেছিল, ম্যাচটিতে ওলমো হ্যাটট্রিক করেন। গত আগস্টে এই ম্যাচের মাধ্যমে কেনের বায়ার্ন ক্যারিয়ারের অভিষেক হয়েছিল। ক্লাব কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কখনই কেন শিরোপা জয় করতে পারেননি। গত ইউরোর ফাইনালে ইতালির কাছে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ হয়েছিল ইংল্যান্ড।
ইউরোতে তিন গোল করা সত্ত্বেও কেন তার ফর্মের শতভাগ প্রমানে ব্যর্থ হয়েছেন।