শিরোনাম
প্যারিস, ২৫ জুলাই, ২০২৪ (বাসস/এএফপি): আগামীকাল পর্দা উঠছে বিশে^র সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমসের। এবারের আয়োজক ফ্রান্স। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠেয় ‘প্যারিস অলিম্পিকের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে সিন নদীতে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে সিন নদীর দুই পাড়, চলছে নিরাপত্তা মহড়াও। আগামীকাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারটায় সিন নদীতে শুরু হবে প্যারিস অলিম্পিকের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গেমসের ফুটবল রাগবি। এছাড়া অন্য আরও কিছু খেলার প্রাথমিক পর্বও শেষ হয়ে গেছে। তবে এবারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জম্পেশ করার লক্ষে কোন স্টেডিয়াম বাদ দিয়ে বেছে নেওয়া হয়েছে নদীকে। অলিম্পিক ইতিহাসে এই প্রথমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে স্টেডিয়ামের বাইরে।
অলিম্পিকের উদ্বোধনী প্যারেডের জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয় প্রধান অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিক আয়োজকেরা এবার সেটিকে রাজধানীর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। মূলত অলিম্পিকের মূল থিম ‘গেমস ওয়াইড ওপেন’কে সামনে রেখেই এই সিদ্ধান্ত। ৬-৭ হাজার অ্যাথলেট আইফেল টাওয়ারের পূর্ব কোণের অস্টারলিটজ সেতু থেকে নৌকা ও বার্জে করে সিন নদীর ৬ কিলোমিটার পাড়ি দেবেন।
প্রায় ৫ লাখের বেশি দর্শক বিশেষভাবে তৈরি স্ট্যান্ড থেকে এই আয়োজন উপভোগ করবেন। চড়া দামে বিক্রি হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টিকিট। তবে সিনের তীর ও আশপাশের ভবনের বারান্দা থেকেও বিনা মূল্যে উপভোগ করা যাবে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠান।
চার ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বর্ণাঢ্য আয়োজন। সূর্যাস্তের সময় আর এই আয়োজনের শেষ অংশটা মিলে যাবে।
ঐতিহ্য মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবার আগে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিসকে। তাদের পর দেখা যাবে শরণার্থী অলিম্পিক দলকে। আর সবার শেষে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে আয়োজক দেশ ফ্রান্সকে। অন্যদিকে রাশিয়া ও বেলারুশের অ্যাথলেটরা এই আয়োজনে অংশ নেবেন ব্যক্তিগত পরিচয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের ভূমিকার কারণে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশকে।
পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে মোট তিন হাজার নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী ও বিনোদনকর্মী অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা সিনের দুই তীরে, সেতুতে ও কাছাকাছি স্মৃতিস্তম্ভগুলোয় থাকবেন। নটর ডেম ক্যাথেড্রালও থাকবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অংশ হয়েঅ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দুই–তৃতীয়াংশ আয়োজন দিনের আলোয় আয়োজন করা হলেও বাকি অংশ দেখা যাবে গোধূলিবেলায়। আয়োজকদের প্রত্যাশা এই আয়োজনে প্যারিসের অপরূপ সূর্যাস্তের মুহূর্তও প্রাণভরে উপভোগ করতে পারবেন দর্শকেরা।
এই আয়োজনে ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক, ভাষিক, ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে চায় আয়োজকরা।
পুরো অনুষ্ঠান সফলভাবে শেষ করতে ফরাসি পুলিশও সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এত বেশিসংখ্যক মানুষের নিরাপত্তার কথাটি বিবেচনায় রাখছেন আয়োজকরা। পুরো অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন প্রায় ৪৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী।