শিরোনাম
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : পাকিস্তান সফরে স্বাগতিক এ’ দলের দু’টি চার দিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হওয়া এনামুল হক বিজয় বলেছেন, এ সফর জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে। ।
মূলত দ্বৈবক্রমে একই সময়ে হচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ ও জাতীয় দলের পাকিস্তান সফর। যে কারণেই জাতীয় দলের টেস্ট সিরিজে ভাল প্রস্তুতির জন্য জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে ‘এ’ দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এ ছাড়া এ’ দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার জাতীয় দলেও সুযোগ পেতে পারে। যাদের মধ্যে এজন বিজয় নিজেই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার দেশে এক অস্থির পরিবেশর মধ্যে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
সকল ক্রিকেটারই খেলাটিতে সাফল্য পেতে চায় উল্লেখ করে বিজয় বলেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে পাকিস্তান সিরিজে ভাল পারফরমেন্স দেখানো।
পাকিস্তানের উদ্দ্যেশে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মলনে বিজয় বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে ক্রিকেট মানুষের কাছে একটা আবেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সকলকে আনন্দিত করে থাকি। সকলেই ক্রিকেট খেলা দেখাটা উপভোগ করে।’
তিনি বলেন, ‘এই সফরের পর টেস্ট সিরিজ খেলতে জাতীয় দলের সফর রয়েছে। প্রস্তুতির জন্য অনেক ক্রিকেটারই ‘এ’ দলের সঙ্গে যাচ্ছে। আমি মনে করি সত্যিকারার্থেই এ সফর জাতীয় দলের প্রস্ততির খুবই ভাল হবে। আশা করছি প্রথম অথবা দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, যা অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য একটা গর্বের বিষয় হবে। কেননা আমরা জানি পাকিস্তানের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। উভয় দলেরই সমান সুযোগ আছে। দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশ দল টেস্ট ক্রিকেট খেলবে এবং আশা করছি আমরা একটা ভাল ফল পাব। আমরা সবাইকে খুশি করতে পারব।’
লাল বলে অতিরিক্ত হিসেবে পাওয়া অধিনায়কের দায়িত্ব বিজয়ের আরেকটা লক্ষ্য হচ্ছে টেস্ট সিরিজে জাতীয় দলে ফেরা।
তিনি আরো বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি বলে আসছি- টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে সবার ওপড়ে। এমনকি প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট খেলার সময়ও আমি নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। যা আমার রেকর্ড দেখলেই বুঝা যাবে। সুতরাং সে ক্ষেত্রে আমার একটা বড় সুযোগ আছে। এটা আমার জন্য একটা বড় সুযোগ। জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পেলে আমার লক্ষ্য হবে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করা বা দীর্ঘ সময় সেটা ধরে রাখা। এটাই আমার লক্ষ্য, ভবিষ্যতের জন্য আমি সেটা করব।’
পুরো দেশই সংস্কারের মধ্যে এবং ক্রিকেটেও পুনর্গঠন হবে আশা করা হচ্ছে। বিজয়েরও প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশে ক্রিকেটে সবাই সমান সুযোগ পাবে।
বিজয় বলেন, ‘সত্যি বলতে ক্রিকেটে আমাদের বড় আকারের পরিবর্তন দরকার। আমরা দেখছি এটা ধীর গতিতে হচ্ছে, ভবিষ্যতে হবে। দুই বা পাঁচ দিনে এটা হয়ে যাবে- এমনটা আশা আপনি করতে পারেন না। এটা পর্যায়ক্রমে হবে। তবে আমাদের প্রাপ্যটা পাওয়ার অধিকার আমাদের আছে। আমাদের সবারই চাওয়া ক্রিকেট বোর্ড কিংবা অন্য যেকোন কিছুতেই এটা সুশৃংখলভাবে হোক। আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই, যেটা এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল। আমরা যেন সবাই সম্মিলিতভাবে সামনের দিকে এগোতে পারি। ’
বিজয় চান এই মূহূর্ত থেকে সব বিষয়ে বিসিবি স্বচ্ছ থাকুক।
তিনি বলেন,‘মুলত সবকিছু কাচের মত স্বচ্ছ হওয়াটা গুরুত্বপুর্ন। আমি কেন দলে আছি, কেন দল থেকে বাদ পড়ছি, কেন আমি খেলছি কিংবা খেলছি না, আমি কতটা সুযোগ পাচ্ছি কিংবা পাচ্ছি না? অবশ্যই এ সব বিষয়ে প্রশ্ন থাকতে হবে। আমরা সবাই চাই এমন প্রশ্ন উঠুক। এর উত্তর পাওয়াটা আমাদের প্রাপ্য। দায়িত্বে যিনি আসবে তিনি ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে-এমনটাই আমি বিশ^াস করি। তবে কিছু জভল থাবেই। আমরা সবাই আশা করি সেনই শুন্যস্থান পুরন কওে আমরা এগিয়ে যাব।’