শিরোনাম
লন্ডন, ১৩ আগস্ট ২০২৪ (বাসস) : সম্প্রতি আন্তর্জাতিক থেকে অবসর নিয়েছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার জেমস এন্ডারসন। তবে এখনো সাদা বলের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে এ কিংবদন্তী পেসারের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলাতে চান তিনি। এন্ডারসন বলেছেন, আমি আর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলবো না। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলার ইচ্ছা আছে।
গত মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ৪২ বছর বয়সী এন্ডারসন। অবসর নেওয়ার পর ইংল্যান্ড দলের পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তবে কতদিন ইংল্যান্ডের পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু এর মাঝেই নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন এন্ডারসন। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
দ্য ফাইনাল ওয়ার্ড পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এন্ডারসন বলেন, ‘আমি ভালো করেই জানি, আমি আর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলবো না। কিন্তু এখনও আমরা ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত নিয়ে কোন সিদ্বান্ত নেইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বছরের শেষভাগেই সবকিছু পরিষ্কার হতে পারে। এই শীতে টেস্ট দলের দু’টি সফর আছে, আমি জানি না ঐ দুই সফরে (কোচিং) ভূমিকা পালন করতে পারবো কি না।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন এন্ডারসন। এরমধ্যে ১৯টি ছিলো জাতীয় দলের হয়ে। ২০০৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে এবং ২০১৪ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এন্ডারসন।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হানড্রেড ক্রিকেট দিয়ে মাঠে ফেরার স্বপ্ন এন্ডারসনের। তিনি বলেন, ‘আমি হানড্রেড দেখেছি, সেখানে দেখলাম প্রথম ২০ বলে বল অনেক সুইং করে। আমি মনে হয়েছে, আমি এটা করতে পারি, আমি এখনও এমন কিছু করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, এটা ঠিক কাজ হবে কি-না। দেখা যাক, সাদা বলের ক্রিকেটে কিছু করতে পারি কি না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটতো কখনও খেলিনি।’
বয়স অনেক হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার মত অবস্থা আছে বলে জানান এন্ডারসন, ‘আমার বয়স ৪২ বছর, এটি এখনও আমার শরীর মনে করছে না। আমি টেনিস কোর্ট খেলার সামর্থ্য রাখি। আশা করছি আগামী পাঁচ বছর বার্নলি সিসির মত মাঠে দৌড়াতে পারবো। শরীর নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারবো। এজন্য নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি মনে করি, আমার জোরে বল করার ক্ষমতা আছে। এই ক্ষমতা যত দিন থাকবে, তাহলে তা কেন ব্যবহার করবো না।’