শিরোনাম
করাচি, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (বাসস) : টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারের স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশে হতাশ দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। এমন হার কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। যে কারণে দলের এই পারফরমেন্সের সমালোচনা করতেও ভুল করেননি জাভেদ মিয়াঁদাদ, ইনজামাম উল হকের মত কিংবদন্তিরা।
২০২২ সালের মার্চ থেকে টেস্ট ফরম্যাটে ঘরের মাঠে সাফল্য নেই পাকিস্তানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ছিলে তাদের। কিন্তু বাংলাদেশের অসাধারণ পারফরমেন্সে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি পাকিস্তান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের হারে বড়সড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৪তম ম্যাচে এসে বাংলাদেশের কাছে প্রথমবারের মত টেস্ট হারের স্বাদ পায় স্বাগতিকরা। সিরিজ হার এড়াতে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিলো পাকিস্তানের। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য পারফরমেন্সের সামনে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। ৬ উইকেটে হেরে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবে বাবর আজম-শান মাসুদরা।
পাকিস্তানের এমন পারফরমেন্সে ক্ষোভ ঝেড়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট এই পর্যায়ে নেমে এসেছে, এটা কষ্টের। গোছানো পারফরমেন্সের জন্য বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। এই সিরিজে যেভাবে আমাদের ব্যাটিং ভেঙে পড়েছে তা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়।’
বাজে পারফরমেন্সের জন্য খেলোয়াড়দের দোষ দিতে নারাজ মিয়াঁদাদ। এর পিছনে গত কয়েক বছরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কার্যকলাপকে দুষছেন মিয়াঁদাদ, ‘আমি শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দিবো না। কারণ গত দেড় বছরে পিসিবিতে যা কিছু হয়েছে, সেই সাথে অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তনের প্রভাব দলের ওপর পড়েছে।’
বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারের জন্য ব্যাটারদের দুষলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম। তিনি বলেন, ‘সেরা দলগুলোকে হারানোর জন্য অতীতে হোম সিরিজকে সবসময় আমাদের সেরা সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এজন্য ব্যাটারদের রান করতে হবে। অতীতে আমাদের ব্যাটাররা রান পেয়েছে, কিন্তু আমি মনে করি এই মুহূর্তে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে তাদের মানসিক দৃঢ় হওয়া জরুরি।’
আগামী অক্টোবরে নিজেদের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে পাকিস্তান। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।