বাসস
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৫০

বিভিন্ন ফেডারেশন থেকে ১৬ জনকে অপসারণ করলো এনএসসি

ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাতে ক্রীড়াঙ্গনও ব্যতিক্রম নয়। ইতোমধ্যে জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। গতকাল ৪২ ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর আগে আরো তিন ফেডারেশনের সভাপতি তাদের পদ হারিয়েছেন। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন ফেডারেশন/এসোসিয়েশনে তাদের ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অপসারণ করেছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে সবাইকে অপসারণের কথা জানিয়েছে।
বিস্ময়ের কথা হলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাঠকর্মী থেকে শুরু করে পরিচালক পর্যন্ত সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা জায়গা করে নিয়েছিলেন বিভিন্ন ফেডারেশন ও এসোসিয়েশনে। এর মধ্যে কিছু ছিলেন নির্বাচিত কমিটিতে, কিছু অ্যাডহক কমিটিতে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ মোতাবেক যাদেরকে অপসারণ করা হয়েছে তারা হলেন (যে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে তা উল্লেখিত) : সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) শেখ হামিম হাসান (সাধারণ সম্পাদক, শরীর গঠন ফেডারেশন), সাবেক পরিচালক (ক্রীড়া) শাহ আলম সরদার (সদস্য, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন), ক্রীড়াজগত সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান দুলাল (সদস্য, শরীর গঠন ফেডারেশন), অবসরপ্রাপ্ত উপ পরিচালক সৈয়দা তাছলিমা আক্তার (সহসভাপতি, বক্সিং ফেডারেশন), বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামের প্রশাসক রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত (সহকারী সাধারণ সম্পাদক, আরচ্যারি ফেডারেশন, সহ-সভাপতি সেপাক টাকরো এসোসিয়েশন ও সদস্য ভারোত্তোলন ফেডারেশন), অবসরপ্রাপ্ত উপ পরিচালক আয়েশা বেগম (সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা), প্রাক্তন জুডো প্রশিক্ষক কামরুন নাহার হিরু (সদস্য, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা ), সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাসুদুর রহমান (সদস্য, সাইক্লিং), সহকারী পরিচালক মো. নিয়াজুল হাসান খান (সদস্য, উশু ফেডারেশন), সাইক্লিং প্রশিক্ষক মো. শাহিদুর রহমান (কোষাধ্যক্ষ, সাইক্লিং ফেডারেশন), ভারোত্তোলন প্রশিক্ষক ফারুক আহমেদ সরকার (কোষাধ্যক্ষ, ভারোত্তোল ফেডারেশন), হ্যান্ডবল প্রশিক্ষক কামরুল ইসলাম কিরণ (সহকারী সাধারণ সম্পাদক, আরচ্যারি), উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন (সদস্য, চুকবল), ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. মাকসুদ উল হক ভূঁইয়া (সদস্য, জুডো ফেডারেশন), সচিবের ব্যক্তিগত সহকারী জিল্লুর রহমান (সদস্য, ইয়োগা ও আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানডো এসোসিয়েশন) ও মাঠকর্মী মো. সেলিম মিয়া (সদস্য, বক্সিং)।