শিরোনাম
বার্সেলোনা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (বাসস/এএফপি) : রবার্ট লিওয়ানদোস্কির গোলে গেতাফেকে বুধবার লা লিগায় ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা।
পোলিশ এই স্ট্রাইকার প্রথমার্ধে পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান। এর মাধ্যমে এবারের মৌসুমে সাত ম্যাচে শতভাগ জয় নিশ্চিত করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও পুরো ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখেছিল স্বাগতিকরা। এই জয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের থেকে চার পয়েন্ট এগিয়ে গেছে বার্সা।
ম্যাচ শেষে ডিফেন্ডার জুলেস কুন্ডে বলেছেন, ‘সবসময় অনেক গোলের ব্যবধানে জয় সম্ভব নয়। আমি মনে করি বেশ কিছু সুযোগ আমরা তৈরী করেছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। গেতাফের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই কঠিন।’
হাঁটুর ইনজুরির কারনে মাসখানেকের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানের পরিবর্তে ইনাকি পেনাকে মূল দলে নামিয়েছিলেন কোচ হান্সি ফ্লিক। এছাড়া মূল দলে ফিরেছেন মার্ক কাসাডো ও আলেহান্দ্রো বাল্ডে। গত মৌসুমে রিজার্ভ গোলরক্ষক হিসেবে দলে থাকা পেনা সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ১৭ ম্যাচে ৩২ গোল হজম করেছিলেন। কাল কাতালান সমর্থকরাও তাকে দারুনভাবে সমর্থণ দিয়েছে। শুরুতেই প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকার কার্লেস পেরেজের একটি হেড দারুন দক্ষতায় তিনি রুখে দেন। ১৯ মিনিটে কুন্ডের ক্রসে পোস্টের খুব কাছে থেকে লিওয়ানদোস্কির শট আটকাতে পারেননি গেতাফে গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া। ৩৬ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার এবারের লা লিগা মৌসুমে এ পর্যন্ত সাত গোল করে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। গত মৌসুমে ফর্মহীনতায় থাকা লেভা ফ্লিককে নতুন করে পেয়ে আবারো পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। বায়ার্ন মিউনিখে ফ্লিকের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে লেভার।
লিওয়ানদোস্কির প্রশংসা করে ফ্লিক বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় গত ১০ বছরে লিওয়ানদোস্কিই বিশ্বের সেরা নাম্বার নাইন। গোলমুখে তাকে সামলানো কঠিন।’
টিনএজার লামিন ইয়ামাল ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শটটি অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। রাফিনহার একটি শট দারুনভাবে সেভ করেছেন সোরিয়া। ম্যাচের শুরুতে আগস্টের সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছেন রাফিনহা। ইয়ামালের একটি কার্লিং শট সোরিয়া কর্ণারের মাধ্যমে রক্ষা করেন। রাফিনহার বিপদজনক ফ্রি-কিকও সোরিয়ার কল্যানে জালে জড়াতে পারেনি। স্পেনের ইউরো ২০২৪ জয়ী তারকা ইয়ামালের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে গেলে আবারো হতাশ হতে হয় বার্সেলোনাকে। ম্যাচের একেবারে শেষভাগে রাফিনহা ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সের অনেকটা ভিতর থেকে তার হেড অল্পের জন্য জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।