বাসস
  ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৪১

ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ী করলেন শান্ত



ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : আবারও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় টেস্ট হারলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা কাছে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।

প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের ৯৭ ও অভিষিক্ত জাকের আলির ৫৮ রানের সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেই টার্গেট ৩ উইকেট হারিয়ে স্পর্শ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ হারের জন্য ভালো ব্যাটিং করতে না পারাকে দুষলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টের প্রথম ইনিংসের বাংলাদেশের পক্ষে মাত্র চার ব্যাটার দুই অংকের কোটা পার করতে পারেন। মাহমুদুল হাসান জয় ৩০, তাইজুল ইসলাম ১৬, মেহেদি হাসান মিরাজ ১৩ ও মুশফিকুর রহিম ১১ রান করেন।

দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের টপ-অর্ডার। এজন্য ১১২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছিলো টাইগাররা। প্রথম ছয় ব্যাাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন জয়। এরপর মিডল অর্ডারে মিরাজ ও জাকের আলি ১৩৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। জাকের ৫৮ রানে থামলেও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান মিরাজ। কিন্তু ৩ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন মিরাজ।

দুই ইনিংসে স্বীকৃত ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ম্যাচ শেষ শান্ত বলেন, ‘আমরা দল হিসেবে হেরেছি। আমরা ব্যক্তিগত অর্জনগুলোর কথা বলছি না। কিন্তু দল হিসেবে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি, এটা আমরা সবাই জানি।’

প্রথম ইনিংসে ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাজ ও জাকেরের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৩’শ পার করে বাংলাদেশ। সেটি উল্লেখ করে মিরাজের প্রশংসা করেছেন শান্ত, ‘আমরা প্রথম ইনিংসে ২’শ রানে পিছিয়ে ছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে মিরাজ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সেটি আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমরা ব্যাটাররা নতুন বলের দায়িত্ব নিতে পারিনি।’

গত আগস্টে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয়ের পর খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভারতের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলো টাইগাররা ব্যাটাররা।

ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের চার ইনিংসে ১৪৯, ২৩৪, ২৩৩ ও ১৪৬ রান করেছিলো টাইগাররা। এবার ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায়, সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে বাংলাদেশকে।