বাসস
  ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:২৩

সিটির তারকাদের ‘দুর্দান্ত মানসিকতার’ প্রশংসায় গার্দিওলা

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ (বাসস) : ম্যানচেস্টার সিটির তারকা খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত মানসিকতার প্রশংসা করেছেন কোচ পেপ গার্দিওলা। একইসাথে তিনি স্বীকার করেছেন দলের সাথে তার সম্পর্ক আগের মতই শক্তিশালী আছে। 

চলতি মৌসুমের পরেই সিটির সাথে গার্দিওলার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এখনো পর্যন্ত নতুন কোন চুক্তির ব্যপারে আগ্রহ দেখাননি এই স্প্যানিয়ার্ড। যে কারনে ধরেই নেয়া হয়েছে এ মৌসুমের পরে ইত্তিহাদ স্টেডিয়াম ছেড়ে যাচ্ছেন গার্দিওলা। 

এর আগে গত মৌসুমের শেষে তিনি জানিয়েছিলেন দলের খেলোয়াড়দের সাথে তার সম্পর্কের গভীরতা যাচাইয়ে নতুন মৌসুম শুরু হবার আগ পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন। 
এটা গার্দিওলার দৃষ্টিকোন থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। তার অধীনে গত সাত বছরে ছয়বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয় করেছে সিটিজেনরা। এর মধ্যে গত চার বছরে টানা চতুর্থ শিরোপা জয়ের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে। 

সিটির সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমি সত্যিই দারুন খুশী। আমি সন্তুষ্ট। ২০১৬ সালে যখন এখানে আসি কোনভাবেই চিন্তা করিনি নয় মৌসুম থাকতে পারবো। এখনো সেই আগের গভীরতা নিয়েই আমরা প্রতিটি ম্যাচে খেলতে নামি। এখনো প্রতিপক্ষ অনেক দলই আমাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আলাদা পরিকল্পনা সাজায়। এটা বিশাল এক প্রাপ্তি। 

আমরা যা করার চেষ্টা করি এবং যেভাবে সবকিছু করছি তাতে এই খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করতে চাইনা। তাদের নিয়ে আমার মনে কখনই কোন শঙ্কা ছিলনা। একমাস আগে আমি একটা কথা বলেছিলাম, প্রতিদিন ট্রেনিং সেশনে আমি যখন তাদের দেখি তখন মনে হয় এখনো তারা আগের মতই উজ্জীবিত আছে। তারা সিটিকে মনের মধ্যে ধারণ করে।’

আরো কিছু বিষয়ের উপর গার্দিওলার ভবিষ্যত নির্ভর করছে। স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সিদ্ধান্ত গার্দিওলা বিবেচনায় নিয়েছেন। এ মৌসুমের শেষে সিটির ফুটবল পরিচালক টাক্সিকি বেগিরিস্টেইনের বিদায়ও গার্দিওলার সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

খেলোয়াড়দের প্রসঙ্গে গার্দিওলা বলেন, ‘তাদের মধ্যে অসাধারণ এক মানসিকতা রয়েছে। এদের মধ্যে বেশীরভাগই শক্তিশালী, প্রতিযোগিতামূলক। প্রতিবারই জয়ের পর আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা হয়তো কিছুটা রিল্যাক্সড হয়ে যাবে। কিন্তু কার্যত সেটা হয়না। একে অন্যকে আরো ভাল খেলার তাগিদ দেয়। তারা আমাদের সামনে এগিয়ে যাবার শক্তি যোগায়। ম্যাচের পরপরই তারা জয়-পরাজয় ভুলে যায়, পরের ম্যাচের কথা চিন্তা করতে থাকে।’