শিরোনাম
ঢাকা, ৬ নভেম্বর ২০২৪ (বাসস) : অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ নবী ও অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সব উইকেট হারিয়ে ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ রান করেছে আফগানিস্তান। নবী ৮৪ ও শাহিদি ৫২ রান করেন। বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন ও মুস্তাফিজের তোপের মুখে পড়ে আফগানিস্তান।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন ৫ রান করা আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
অষ্টম ওভারে আফগানিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। মুশফিকের ক্যাচে ২ রানে বিদায় নেন রহমত শাহ।
দশম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। ঐ ওভারের দ্বিতীয় বলে আফগানিস্তানের অভিষিক্ত ব্যাটার সেদিকুল্লাহ আতালকে ২১ রানে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন ফিজ। ২ বল পর আজমতুল্লাহ ওমারজাইকে খালি হাতে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান।
উইকেট পতন ঠেকাতে পঞ্চম উইকেটে সাবধানে খেলতে শুরু করেন অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদি ও গুলবাদিন নাইব। ১০ ওভার খেলে ৩৬ রান যোগ করে তারা। ২০তম ওভারে নাইবকে শিকার করে জুটি ভাঙেন তাসকিন। মিড উইকেটে তানজিদ হাসানকে ক্যাচ দেন ৩টি চারে ২২ রান করা নাইব।
দলীয় ৭১ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন শাহিদি ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। ২৬তম ওভারে দলের রান ১শতে নিয়ে যান এই জুটি।
৩৪তম ওভারে শাহিদি ও নবীর জুটি ভাঙার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে নবীর বিপক্ষে লেগ বিফোর আউটের আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি নন-স্ট্রাইকের আম্পায়ার। তাতে রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বাংলাদেশের আবেদন সঠিক ছিল।
৩৬তম ওভারে দেড়শ পার করে আফগানিস্তান। পরের ওভারে ওয়ানডেতে ১৭তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন নবী। এরপর ২২তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন শাহিদিও। অর্ধশতকের পর মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হন আফগান দলনেতা। ২টি চারে ৯২ বলে ৫২ রান করেন তিনি। নবীর সাথে ১২২ বলে ১০৪ রান যোগ করেন শাহিদি।
অধিনায়কের বিদায়ে ক্রিজে এসে ১টি চারে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি রশিদ খান। পেসার শরিফুল ইসলামের বলে মিড উইকেটে মুস্তাফিজকে ক্যাচ দেন রশিদ।
অষ্টম উইকেটে নাঙ্গোলিয়া খারোতের সাথে ২৯ বলে ৩০ রান যোগ করে ৪৬তম ওভারে আফগানিস্তান রান ২’শতে নেন নবী।
৪৮তম ওভারে শেষবারের মত আক্রমনে এসে নবীকে থামান তাসকিন। ওভারের তৃতীয় বলে পুল করার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে তানজিদকে ক্যাচ দেন নবী। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৯ বলে ৮৪ রান করেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটার। পরের ডেলিভারিতে আল্লাহ গজানফরকে বোল্ড করে ইনিংসে চতুর্থ উইকেট নেন তাসকিন।
দলীয় ২১৯ রানে নবম উইকেট পতনের পর আফগানিস্তানকে ২৩৫ রানে রানের পুঁিজ এনে দেন নাঙ্গোলিয়া খারোতে। শেষ ব্যাটার হিসেবে ফজলহক ফারুকি রান আউট হলে ২ বল থাকতে গুটিয়ে যায় আফগানরা। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন খারোতে।
১০ ওভার করে বল করে তাসকিন ৫৩ রানে এবং মুস্তাফিজ ৫৮ রানে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন। ৩২ রানে ১ উইকেট দখল করেছেন শরিফুল।