শিরোনাম
ঢাকা, ৮ নভেম্বর ২০২৪ (বাসস) : ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই দ্বিপাক্ষীক টি-টোয়েন্টি সিরিজই জিতেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টানা তৃতীয় সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু করবে ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ বছর পর সিরিজ জয়ের লক্ষ্য ইংলিশদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠ বার্বাডোজে আগামী ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে দু’দল।
২০২২ ও ২০২৩ সালে সর্বশেষ দুই সিরিজেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের দুই সিরিজই ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিলো ক্যারিবীয়রা। ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে মরিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের লক্ষ্যের কথাই জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাদা বলের কোচ ড্যারেন স্যামি। সদ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
স্যামি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের দুই সিরিজই আমরা জিতেছি। টানা তৃতীয় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠে নামবো। তবে কাজটি সহজ হবে না। কারন ইংল্যান্ড ভালো দল। তাদের হারাতে হলে আমাদের তিন বিভাগেই ভালো খেলতে হবে। ঘরের মাঠের সুবিধার পাশাপাশি সদ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কারনে আমরা এগিয়ে থাকবো।’
২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ড। ক্যারিবীয় সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিলো ইংলিশরা।
তবে সদ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারলে টি-টোয়েন্টিতে ঘুড়ে দাঁড়াতে চায় ইংল্যান্ড। দলের অধিনায়ক জশ বাটলার বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজে দল ভালো খেলতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ঘুড়ে দাঁড়াতে চাই। এই দলের সেই সামর্থ্য আছে। দলের সবাই সিরিজ জয়ে জন্য মুখিয়ে আছে। কারন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সর্বশেষ দুই সিরিজই আমরা হেরেছি। এবার রেকর্ডে পরিবর্তন আনতে চায় ছেলেরা।’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথমবারের মত মাঠে নামবেন বাটলার। কাফ ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন না বাটলার। নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর একটি মাত্র দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড। গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিলো তারা।
এখন পর্যন্ত ৩০টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরমধ্যে ক্যারিবীয়রা ১৭টিতে এবং ইংলিশরা ১৩টিতে জিতেছে।