শিরোনাম
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম বিভাগ।
টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ চট্টগ্রাম ১২ রানে হারিয়েছে সিলেট বিভাগকে। ৩৩ বলে ৬৫ রান করেন তামিম। সিলেটের হয়ে ব্যাট হাতে ৩৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি ওপেনার তৌফিক খান তুষার।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে কুয়াশার কারণে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪১ বলে ৮০ রানের সূচনা করে চট্টগ্রাম। ১৭ বলে ২৯ রান করে ফিরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তবে এক প্রান্ত আগলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
১১তম ওভারে আউটের আগে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তামিম। গতকাল চট্টগ্রামের প্রথম ম্যাচে ১৩ রানে ফিরেছিলেন সাত মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা তামিম।
তামিম-মাহমুদুলের পর চট্টগ্রামের হয়ে দুই অংকের দেখা পান সাব্বির হোসেন। ১২ বলে ১৫ রান করেন তিনি। এতে ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান করে চট্টগ্রাম। সৈয়দ খালেদ আহমেদ ৪টি উইকেট নেন।
জবাবে ওপেনার তৌফিক খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারে ১শ রানে পৌঁছে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো সিলেট। কিন্তু ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে তৌফিক আউট হলে সিলেটের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানে অলআউট হয় সিলেট।
৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৭৬ রান করেন তৌফিক। হাসান মুরাদ ও নাইম হাসান ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম।
দুই ম্যাচে চট্টগ্রামের এটি প্রথম জয় এবং দু’টিতেই হারল সিলেট।
বরিশালের বিপক্ষে ১ রানের রোমাঞ্চকর জয় খুলনার
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় রাউন্ডে বরিশাল বিভাগকে ১ রানে হারিয়েছে খুলনা বিভাগ। শেষ তিন বলে তিন রান আউটে ৩ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি বরিশাল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রান পায় খুলনা। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ১৮ বলে ৫টি চারে ২৪ রানে থামেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
মিডল অর্ডারে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের সুবাদে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় খুলনা। ৩৫ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন নুরুল। এছাড়াও জিয়াউর রহমান ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮ বলে ১৭ রান করেন। বরিশালের কামরুল ইসলাম রাব্বি ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন।
জবাবে ওপেনার আব্দুল মজিদের হাফ-সেঞ্চুরিতে জয়ের পথে টিকে ছিলো বরিশাল। ৫টি চারে ৫৩ বলে ৫১ রানে মাজিদ ফেরার পর বরিশালের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন মইন খান। ষষ্ঠ উইকেটে মইনের সাথে ৩৪ বলে ৪৭ রান যোগ করেছিলেন মজিদ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৯ রান দরকার ছিল বরিশালের। মেহেদি হাসান রানার করা শেষ ওভারের প্রথম ৩ বলে ৬ রান পায় বরিশাল। এতে শেষ তিন বলে ৩ রান দরকার হয়।
চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রান আউটে দুই উইকেট হারায় বরিশাল। পরের বলে ওয়াইড থেকে ১ রান পায় তারা। শেষ বলে ২ রানের দরকারে রান আউট হন রুয়েল মিয়া। এতে ৯ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশাল। নাহিদুল ইসলাম ও রানা ২টি করে উইকেট নেন।
দুই ম্যাচে খুলনা প্রথম জয় পেলেও, দু’টিতেই হারল বরিশাল।