শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : মোহাম্মদ সালাহর দুর্দান্ত পারফরমেন্সে টটেনহ্যামকে ৬-৩ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে লিভারপুল। আরেক ম্যাচে ঘরের মাঠে বোর্নমাউথের কাছে ৩-০ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
অসাধারণ পারফরমেন্স দেখিয়ে ম্যাচে দুই গোল করা ছাড়াও আর্নে স্লটের দলের হয়ে দুটি এ্যাসিস্টও করেছেন সালাহ। ৩২ বছর বয়সী সালাহ এখন ২২৯ গোল নিয়ে লিভারপুলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতার মর্যাদা আদায় করে নিয়েছেন। এই তালিকায় ইয়ান রাশ (৩৪৬) শীর্ষে রয়েছেন। পরের দুই অবস্থানে রয়েছেন যথাক্রমে রজার হান্ট (২৮৫) ও গর্ডন হজসন (২৪১)।
স্লটের অধীনে এনিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ২৫ ম্যাচে ২১ জয় নিশ্চিত করেছে অল রেডসরা।
লিভারপুলের শক্তিশালী পালফরমেন্সের পিছনে লুইস দিয়াজ ও এ্যালেক্সিস ম্যাক এ্যালিস্টারেরও অবদান রয়েছে। ৩৬ মিনিটের মধ্যে এই দুজনের গোলে ২-০ ব্যবধানের লিড পেয়েছিল লিভারপুল। জেমস ম্যাডিসন ৪১ মিনিটে স্পার্সদের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু প্রথমার্ধেও ইনজুরি টাইমে ডোমিনিক সোবোসলাই তৃতীয় গোল করলে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় টটেনহ্যাম।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুতেই মিশরীয় তারকা সালাহ পরপর দুই গোল দিয়েছেন। ডিয়ান কুলুসেভস্কি ও ডোমিনিক সোলাঙ্কের গোলে স্পার্স কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও ৮৫ মিনিটে দিয়াজের দ্বিতীয় গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের।
ম্যাচ শেষে স্লট বলেছেন, ‘প্রথম ৬০ মিনিট আমাদের পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব ছিল আমরা করেছি। আমরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে আজ খেলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সবকিছুর পরও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে খেলা চালিয়ে যেতে হয়। যদিও আমরা শেষ পর্যন্ত সেটা করতে পারিনি।’
আনগে পোস্তেকোগ্লুর টটেনহ্যাম অতিমাত্রায় রক্ষনাত্মক কৌশলে খেলতে গিয়ে শাস্তি পেয়েছে। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম লিগে ঘরের মাঠে কোন ম্যাচে ৬ গোল হজম করতে হয়েছে স্পার্সদের।
এবারের মৌসুমে এনিয়ে লিগে অষ্টম পরাজয়ের স্বাদ পেল ১১তম স্থানে থাকা স্পার্স। যে কারনে পোস্তেকোগ্লুর উপর চাপও বেড়েছে।
দিনের আরেক ম্যাচে ইউনাইটেড বস রুবেন আমোরিম আরো একবার মূল দল থেকে মার্কোস রাশফোর্ডকে বাদ দিয়েছেন। নিজের সংক্ষিপ্ত সময়ে ইউনাইটেডকে খুব একটা কিছু দিতে পারেননি আমোরিম। তার উপর বড় দিনের আগে এই ধরনের পারফরমেন্সে হতাশাই বেড়েছে।
এই মুহূর্তে টেবিলের ১৩তম স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড। নভেম্বরে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসার পর আমোরিমের অধীনে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় গত ৯ ম্যাচে এটি চতুর্থ পরাজয়। বৃহস্পতিবার টটেনহ্যামের কাছে লিগ কাপ থেকে বিদায়ের পর এটি ইউনাইটেডের টানা দ্বিতীয় পরাজয়।
এনিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে রাশফোর্ডকে মূল দলের বাইরে রেখেছিলেন আমোরিম। ২৯ মিনিটে সেট পিস থেকে বোর্নমাউথের টিনএজার ডিফেন্ডার ডিন হুইসেন দারুন ফ্রি-কিকে গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানাকে পরাস্ত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে জাস্টিন ক্লুইভার্ট ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৬১ মিনিটে নুসাইর মাজরাউয়ির বিপক্ষে আদায় করা পেনাল্টি থেকে ক্লুইভার্ট গোলের ব্যবধান ২-০’তে নিয়ে যান। দুই মিনিট পর ডানগো উটারাসের পাস থেকে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে এন্টানিও সেমেনিও আরো এক গোল করলে লজ্জায় ডুবে ইউনাইটেড।