বাসস
  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৩

সেভিয়াকে হারিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো মাদ্রিদ

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : রোববার সেভিয়াকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে টপকে লা লিগা টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

এর আগে শনিবার বার্সেলোনাকে হারিয়ে বড়দিনের আগে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠেছে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। এই সুযোগটি ভালই কাজে লাগিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ঘরের মাঠে সহজ জয়ে তারা কাতালান জায়ান্টদের দুই পয়েন্টে পিছনে ফেলেছে।

সেভিয়ার ম্যাচের আগে মাদ্রিদ বস আনচেলত্তি বলেছিলেন পিএসজি থেকে গ্রীষ্মে দলে আসা কিলিয়ান এমবাপ্পের দলের সাথে মানিয়ে নেবার সময় শেষ হয়েছে। দুর্দান্ত পারফরমেন্স দিয়ে কোচের এই কথা সঠিক প্রমান করেছেন ফরাসি তারকা। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এমবাপ্পে কাল ১৪তম গোল পেয়েছেন।

ফেডে ভালভার্দেও দুর্দান্ত এক গোল করেছেন। স্বাগতিকদের হয়ে স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন রডরিগো ও ব্রাহিম দিয়াজ। এর মধ্যে দিয়াজের শেষ গোলের যোগানদাতা ছিলেন এমবাপ্পে।

সেভিয়ার হয়ে দুই গোল শোধ করেছেন ইসাক রোমেরো ও ডোডি লুকেবাকিও।

ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমরা একে অপরকে ভালভাবেই চিনি। এখানে আসার পর অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আর এখন কোচ যা বলেছে, আমার মানিয়ে নেবার সময় শেষ হয়েছে। দলের ভিতর আমি এখন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। সতীর্থদের সাথে একসাথে দল হিসেবে আমি যে খেলতে পারছি তার প্রমান মাঠেই দিয়েছি। এখন সবাই মিলে আরো ভাল খেলতে হবে।’

উরুর ইনজুরির কারনে অল্প কিছুদিন বিশ্রামে ছিলেন এমবাপ্পে। আগের ম্যাচে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে মাদ্রিদের ৩-০ গোলের জয়ের ম্যাচে এমবাপ্পে স্কোর করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে লিভারপুল ও এ্যাথলেটিক বিলবাওর বিপক্ষে দুটি পেনাল্টি মিস করা ফরাসি এই তারকার জন্য এভাবে ফিরে আসাটা জরুরী ছিল। একইসাথে সমালোচকদের মুখ কিছুটা হলেও বন্ধ করতে পেরেছেন।

ভিনিসিয়াস জুনিয়র নিষেধাজ্ঞায় থাকায় এমবাপ্পের উপরই আক্রমনভাগের মূল দায়িত্ব ছিল। ১০ মিনিটে ডেডলক ভেঙ্গে এমবাপ্পে সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। ১০ মিনিট পর শর্ট কর্নার থেকে থেকে ভালভার্দের ৩০ গজ দূরত্বের শট আটকানোর সাধ্য ছিলনা সেভিয়া গোলরক্ষক আলভারো ফার্নান্দেজের। ৩৪ মিনিটে লুকাস ভাসকুয়েজের ক্রসে রডরিগো দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। পরের মিনিটেই হুয়ানলু সানচেজের ক্রসে রোমেরো সেভিয়ার হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন।

বিরতির পর এমবাপ্পের দুর্দান্ত পাসে দিয়াজের শট আটকাতে পারেননি ফার্নান্দেজ।

৬৫ মিনিটে জেসুস নাভাসকে বদলী বেঞ্চ থেকে মাঠে নামানো হলে পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শকরা দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানায়। সেভিয়ার হয়ে এটাই ছিল ৩৯ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের শেষ ম্যাচ। ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ ৭০৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি । ২০১০ বিশ্বকাপ  ও দুইবারের ইউরো জয়ী এই তারকাকে মাদ্রিদ ও সেভিয়ার খেলোয়াড়রাও ম্যাচের শুরুতে গার্ড অব অনার দিয়েছে।

নাভাস সেভিয়ার হয়ে চারটি ইউরোপা লিগ, দুটি কোপা ডেল রে শিরোপা জয় করেছেন।