শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে কীর্তি গড়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের হয়ে অপরাজিত ১৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন নিগার।
নিগারের সেঞ্চুরি পাবার পর শতক হাঁকিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের ওপেনার ফারজানা হক পিংকি। অপরাজিত ১০২ রান করেছেন তিনি। নিগার-ফারজানার ইতিহাস গড়ার ম্যাচটি ড্র করেছে উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল।
প্রথমে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৪০ রান করে উত্তরাঞ্চল। এই ইনিংসে সেঞ্চুরি সম্ভাবনা হাতছাড়া করেন ফারজানা। ৮৬ রানে আউট হন তিনি।
জবাবে নিগারের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে মধ্যাঞ্চল। ৮৫ রান নিয়ে আজ তৃতীয় ও শেষ দিনের খেলা শুরু করেছিলেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা নিগার। ২১৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ইনিংস ঘোষণার আগে ২৫৩ বলে ২০টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন নিগার।
প্রথম ইনিংসে ১৪৭ রানে পিছিয়ে থেকে ম্যাচে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ২০৪ রান করে ড্র করে উত্তরাঞ্চল।
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারজানা। ১২টি চারে ২২৬ বলে অপরাজিত ১০২ রান করেন তিনি।
নিগারের পর নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন ফারজানা।
ম্যাচ শেষে সেঞ্চুরি পাবার অনুভূতি জানাতে গিয়ে নিগার বলেন, ‘গতকাল অনেক ব্যাটার সেঞ্চুরি মিস করলেও আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। দ্বিতীয় দিন ৮৫ রান নিয়ে আমি মাঠ ছাড়ি। তখন অনেকেই বলেছিল সেঞ্চুরি সম্ভব এবং আমিও অনুভব করেছি, ধৈর্য্যের সাথে খেলতে পারলে আমি এটা করতে পারবো। আমি শুধুমাত্র স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, তিন দিনের ম্যাচে বড় একটি মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছি। আমার একটি পরিকল্পনা ছিল এবং আমি সঠিকভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরে খুশি।’
বিসিএলের আরেক ম্যাচে পূর্বাঞ্চলকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমি মাঠে তিন দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৩ রানে অলআউট হয় পূর্বাঞ্চল। জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান করে দক্ষিণাঞ্চল।
প্রথম ইনিংসে ১৫৪ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬২ রানে অলআউট হয়ে পূর্বাঞ্চল। এতে ৯ রানের টার্গেট পায় দক্ষিণাঞ্চল। মাত্র ৫ বল খেলে জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণাঞ্চল।