শিরোনাম
ঢাকা, ২ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : বোলার-ব্যাটারদের দারুণ নৈপুন্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
আজ টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ ও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রংপুর ৮ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালকে। তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে গেল মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গ্লোবাল সুপার লিগের শিরোপা জয় করা রংপুর। অন্যদিকে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জয় দিয়ে বিপিএল শুরুর পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হারলো বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানের সূচনা করেন বরিশালের দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০ বলে ৯ রান করে রংপুরের স্পিনার মাহেদি হাসানের শিকার হন শান্ত।
তিন নম্বরে নামা তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। কিন্তু ১০ বলে ১৭ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৪ রানে আউট হন হৃদয়।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে পেসার নাহিদ রানার বলে বোল্ড হন তামিম। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ বলে ২৮ রান করেন।
তামিম ফেরার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্স। কিন্তু রংপুরের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। ৩০ বলে ৩১ রান যোগ হবার পর এই জুটি ভাঙে।
দলীয় ৭৪ রানে মুশফিক ফেরার পর ব্যাটিং ধস নামে বরিশালের। ৯৮ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বরিশাল। শেষ দিকে মোহাম্মদ নবির ১৯ বলে ২১ রানের সুবাদে ১শ রানের কোটা পার করে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় বরিশাল। ইনিংসের ১০ বল বাকী থাকতে ১২৪ রানে অলআউট হয় তারা।
রংপুরের ছয় বোলারের পাঁচজনই উইকেট শিকার করেছেন। এরমধ্যে স্পিনার খুশদিল শাহ ৩টি, রানা-ইফতিখার ২টি করে এবং মাহেদি-আকিফ ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই ২ উইকেট হারায় রংপুর। রানের খাতা খোলার আগেই রংপুরের ওপেনার আজিজুল হাকিম ও তিন নম্বরে নামা তৌফিক খানকে শিকার করেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার ইকবাল হোসেন ইমন।
১৫ রানে ২ উইকেট পতনের পর পাওয়ার প্লে শেষে রংপুরের রান ৪৮’এ নেন আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান। ১৩তম ওভারে টি-টোয়েন্টিতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৮ বল খেলা সাইফ। ঐ ওভারেই ১শতে পৌঁছায় রংপুর।
১৫তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে ৫ ওভার বাকী থাকতে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন হেলস। তৃতীয় উইকেটে হেলস ও সাইফ ৮১ বলে ১১৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করেন হেলস। ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারিতে ৪৬ বলে অনবদ্য ৬২ রান করেন সাইফ।
ইমন ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।