শিরোনাম
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।
গতকাল (শুক্রবার) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে এক পোস্টে তামিম লিখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সিদ্ধান্ত জানতে সম্প্রতি তামিমের সাথে দেখা করেন জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল। পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের সাথে আলোচনা করার জন্য তাদের কাছে সময় চান তামিম।
তামিম বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মত বড় একটি আসর সামনে আছে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যহত হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। এমন চাইনি বলেই অনেক আগেই নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোন ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যে কোন পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’
ফর্মে থাকায় তামিমকে দলে ফেরার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন তামিম।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন এবং গত বিপিএলে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে শিরোপাও জিতেছিলো ফরচুন বরিশাল। গত এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও ভালো ছন্দে ছিলেন তামিম। এমনকি চলতি বিপিএলেও ফর্ম অব্যাহত আছে তার।
তামিম বলেন, ‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সাথেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’
২০২৩ সালে অবসরের ঘোষণা দিয়েও, সেই সিদ্ধান্ত থেকে পরবর্তীতে সড়ে আসেন তামিম। তিনি বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি। কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।’