শিরোনাম
ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে না পারার কারণে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারছে না বলে মনে করেন দুর্বার রাজশাহী ব্যাটার এনামুল হক বিজয়।
এনামুলের মতে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের পাওয়া-হিট দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বিশ্বের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পাওয়া-হিটের চাহিদা অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ‘এবারের বিপিএলে, আমরা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন-জাকের আলী অনিক, জাকির হাসান, শামীম পাটোয়ারী এবং অন্যান্যদের কাছ থেকেও ভালো ইনিংস দেখেছি।’
এনামুল আরও বলেন, ‘আফিফও ভালো খেলেছে। আমি হয়ত কিছু নাম মিস করতে পারি, কিন্তু বেশিরভাগ বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা এই বিপিএল এবং তার আগের এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা বিদেশী লিগে খেলার তেমন সুযোগ পায় না। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কম খেলে। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ বিশ্বজুড়ে কয়েকটি লিগে খেলেছেন। কিন্তু তাদের ছাড়া অন্যদের সুযোগ খুবই কম হয়েছে।’
জাতীয় দলের খেলার আগেই আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রস্তুতের সুযোগ কিভাবে পেয়েছিলেন সেই উদাহরণ টেনে আনেন এনামুল।
এনামুল বলেন, ‘জাতীয় দলে অভিষেকের আগেই অনেক আফগান খেলোয়াড় বিগ ব্যাশ এবং আইপিএলে খেলছে। এসব লিগ খেলে বড় খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে তারা। আমাদেরও তেমন প্রতিভা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষ লিগে খেলার সুযোগ হলে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। যে নামগুলো আগে বলেছি, তাদের সম্ভাবনা আছে। প্রতিভার চেয়ে পারফরমার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বড় ইনিংস না খেললেও তারা যে রান করেছে সেটি ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে। যদি তারা ধারাবাহিক হতে পারে তাহলে ভালো খেলোয়াড় হবে।’
চলমান বিপিএলে ভাল ফর্মে আছে এনামুল নিজেই। ৮ ইনিংসে ৩২৪ রান নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে আছেন তিনি। ৩৩০ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন তানজিদ হাসান তামিম।
গতরাতে বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম ও সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন এনামুল। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বলে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেও, হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৭ বলে অনবদ্য ১শ রান করেন এনামুল। নিজের দুর্দান্ত ইনিংস নিয়ে এনামুল বলেন, ‘আসলে আমার ইনিংস নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। ম্যাচ কতটা কাছাকাছি নেওয়া যেতে পারে, রান রেট কেমন আছে সেসব দেখতেই স্কোরবোর্ড খেয়াল করছিলাম। বল অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। খেলায় জিতলে আমি খুশি হতাম। এমন ম্যাচে জয় পাওয়া ব্যাটারদের কাছে স্বপ্নের মতো। ক্যারিয়ারে এমন পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ জিততে পারবেন বলে, সবাই তার কাছে প্রত্যাশা করে। তাই সেঞ্চুরি হলেও আফসোস আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন ইনিংসকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যে ইনিংসটি দেখেছি, আমি বলব কোচ ও দলের অন্যান্যরা যা দেখেছে, সেটি হলো প্রতিদিনই সকাল থেকে আমি অনুশীলন শুরু করি। এটি ‘৩৬০ ডিগ্রী বা ওরকম শট হোক না কেন, এটি ব্যাটারের জন্য সুযোগ। ব্যাটিংয়ের সময় সময় আমি ভেবেছি, পাওয়ার প্লে শেষ হবার পর কিভাবে বাউন্ডারি পাবো।’